অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান


প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০২৫, ৫:১৩ পূর্বাহ্ন / ২১
অর্থপাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি 

দেড় দশক আগের অর্থপাচার মামলার দণ্ডাদেশ থেকে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের আপিল মঞ্জুর করে গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় তারেক রহমানের আপিল না থাকলেও প্রধান আসামি (গিয়াস উদ্দিন আল মামুন) নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ায় খালাসের রায়ের সুবিধা পেয়েছেন তারেক রহমান।
বিচারিক আদালত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে খালাস দিলেও পাঁচ বছর আগে হাইকোর্ট তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামুন। তাতে শুনানির পর গত বছর ১০ ডিসেম্বর মামুনকে আপিল করার অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুন আপিল করেন।
এই আপিলে গত ৪ মার্চ শুনানি শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

রায়ের পর আইনজীবী এস এম শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্দোষ সাপেক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তারেক রহমান যদিও এই মামলায় আপিল করতে পারেননি, তার পরও তিনি এই খালাসের রায়ের বেনিফিট (সুবিধা) পাবেন। ফলে উনিও এই মামলায় নির্দোষ সাব্যস্ত হয়ে খালাস পেয়েছেন।’

আপিল না করলেও তারেক রহমান কিভাবে সুবিধা পেলেন, তার ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা ভারত, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় থেকে দেখিয়েছি, যদি মামলার অভিযোগ প্রিন্সিপাল অ্যাকিউসডের (প্রধান আসামি) বিরুদ্ধে প্রমাণ না হয়, যদি দেখা যায় মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানি বা অপদস্থ করার জন্য কিংবা মামলায় সাজা দেওয়ার মতো কিছু নাই, সে ক্ষেত্রে কেউ যদি আপিল নাও করেন, আদালত ইচ্ছা করলে তাঁকে খালাসের বেনিফিট দিতে পারেন। তা ছাড়া আমাদের প্রেয়ার (আরজি) ছিল, আদালত আমাদের আরজিটা মঞ্জুর করেছেন।

আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘দুদকের এই মামলা করার কোনো কর্তৃত্বই ছিল না। মামলাটি ছিল আইনগতভাবে অচল। ফলে এই মামলার দায় থেকে তারেক রহমান এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, এই মামলার মধ্য দিয়ে তাঁদের যে মর্যাদাহানি করা হয়েছে, মানহানি হয়েছে—এই রায়ের মধ্য দিয়ে তা ফেরত দেওয়া হলো।’

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।


There is no ads to display, Please add some