বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চিহ্নিত গরু চোর চক্রের সদস্য আঃ জব্বার হাওলাদার (৪২), জলিল হাওলাদার (৫২) ও রিয়াজ গাজী (৩৫) গ্রেফতার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে তিনটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। চোর আটকের ঘটনায় আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন তক্তাবুনিয়া (মোল্লাপাড়া আবাসন) সামনের উত্তর ভিটিতে বসবাস করেন মৃত্যু জয়নাল হাওলাদারের পুত্র মামলার বাদী মোঃ মামুন হাওলাদার। গত ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত অনুমান ১০টা থেকে রাত ২টার মধ্যে তার গোয়াল ঘর থেকে ১টি গাভীন গরু, ১টা বলদ বাছুর ও ১টি দামড়ী বাছুর গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। পরের দিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করে গরুগুলোর কোন সন্ধান পাননি। এরপর গত ২৯ অক্টোবর রাত অনুমান ৮টার দিকে একই এলাকার আসামী জব্বার হাওলাদার মামলার বাদী মোঃ মামুন হাওলাদারের বাড়ীর সামনে দিয়ে সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করলে স্থাণীয় লোকজন তাকে আটক করে জিজ্ঞাষাবাদ করে। এসময় তিনি উপস্থিত মানুষজনের সামনে ওই গরু চুরি করার কথা স্বীকার করেন। পরে আমতলী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে জব্বার হাওলাদারকে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাষাবাদে চোর জব্বার হাওলাদার চুরি যাওয়া গরু ৩টি উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামে তার বড় ভাই জলিল হাওলাদারের বাড়ীতে রেখেছে বলে জানান। পরের দিন (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৪টার দিকে আমতলী থানার এসআই সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ওই বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ী থেকে চুরি যাওয়া ৩টি গরুসহ উদ্ধার করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযোগে জলিল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া দুই চোরের স্বীকারোক্তিতে অপর আসামী রিয়াজ গাজীকে গলাচিপা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার পক্ষিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। গরু চুরির ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামুন হাওলাদার বাদী হয়ে আঃ জব্বার হাওলাদার, জলিল হাওলাদার, রিয়াজ গাজী ও বশির মাতুব্বর এবং অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ সরকার বলেন, আমতলী ও গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গরুসহ চিহ্নিত চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :