আলফাডাঙ্গায় একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন , নৌকার একটি ইউনিয়নে জয়ী


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ১১:৫৭ অপরাহ্ন / ৫৪৬
আলফাডাঙ্গায় একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন , নৌকার একটি ইউনিয়নে জয়ী

 

এস এম রুবেল ফরিদপুর প্রতিনিধি:

অদ‍্য  ২৯ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা উপজেলার   একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন  উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। মাত্র একটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে। পৌরসভাসহ বাকি দুটি ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এ ভোটের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে মো. আলী আকসাদ ঝন্টু নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৪৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৬৬০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
অপরদিকে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটিতে নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ও অপর দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বুলবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চশমা প্রতীক নিয়ে ১৮৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল ওহাব মিয়া আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. আব্দুল আলীম খান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩১৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. সাইফুল খান চশমা প্রতীক নিয়ে ৫২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ইনামুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬৭১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা এ নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে । তারা অনেকে দোষারোপ করছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সঠিক ভাবে জনপ্রতিনিধি রাজনীতিবীদকে না দেয়ার খেসারত হিসেবে নৌকা প্রতীকের পরাজয় গুনতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, সংসদ নির্বাচন ছাড়া দলীয় প্রতীক নিন্মস্তরে দিলে প্রতীকের অসম্মান হয়। কেননা ফরিদপুর-১ আসনে বিগত সংসদ নির্বাচনে আলফাডাঙ্গা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে সকলের কাছে পরিচত ছিল। তবে এ পরাজয়ে নেতাকর্মীরা অনেকটায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।

 


There is no ads to display, Please add some