ইসলামি শরীয়াতে ধুমপানের কুফল


প্রকাশের সময় : জুলাই ১, ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন / ৬০
ইসলামি শরীয়াতে ধুমপানের কুফল

 

মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ
সাংবাদিক, ইসলামিক কলামিস্ট

 

আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টিকুলের সেরা হিসেবে সৃজন করেছেন। আর তার জন্য সুন্দর জীবনযাপনের যাবতীয় উপায়-উপকরণ ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

মানুষের জন্য যা কল্যাণকর, পবিত্র, উত্তম ও উপাদেয় তা তিনি গ্রহণীয় আর যা অকল্যাণ, অপবিত্র, ক্ষতিকর ও অনুপাদেয় তা বর্জনীয় হিসেবে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদের যা জীবিকা হিসেবে দিয়েছি, তোমরা তা আহার করো’ (সুরা তাহা : ৮১)। আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সুস্পষ্ট বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কিছু লোক সর্বনাশা বর্জনীয় জিনিসের ফাঁদে পড়ে নিজেদের, পরিবারের ও সমাজের সর্বনাশ ডেকে আনে। মারাত্মক বদভ্যাসের দাসে পরিণত হয়। ধূমপান ও মাদকাসক্তি এই ধরনেরই মারাত্মক বদভ্যাস।

ধূমপান শুধু ধূমপায়ীর জন্যই বিপজ্জনক নয়, তার আশপাশে অধূমপায়ীদের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।

ধূমপায়ীর ঘরে অধূমপায়ী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা থাকলে তারাও সমানভাবে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ধূমবিষ প্রহণ করে। বিশেষ করে ধূমপায়ী স্বামীরা তাদের অধূমপায়ী অসহায় স্ত্রী ও প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানদের প্রতি ধূমপানের মাধ্যমে বড়ই নিষ্ঠুর আচরণ করছেন।

আমাদের প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিজের ক্ষতি করবে না এবং অন্যদেরও কোনো ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।’ পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘তোমরা নিজেদের হাতে নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না’ (সুরা বাকারা : ১৯৫)। ধূমপানে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়।

অথচ ইসলাম অনর্থক ব্যয়কে নিরুৎসাহিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন। অনর্থক কথাবার্তা, সম্পদ বিনষ্ট করা, অধিক প্রশ্নকরণ’ (মুসলিম : ১০৩)। মহানবী (সা.) আরো বলেন ‘যে ব্যক্তি বিষ গ্রহণ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে নিজ হাতে বিষ গ্রহণ করতঃ সেখানে স্থায়ীভাবে থাকবে’ (মুসলিম : ১০৯)।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ধূমপান বৈধ না অবৈধ তা আল-কোরআন ও রাসুল (সা.)-এর হাদিসের মাধ্যমে বিচার্য। বস্তুত ইসলাম মানুষের জন্য যা মঙ্গল, কল্যাণকর তা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে।

আর যা ক্ষতিকর, মানুষকে ধ্বংসাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়, তা থেকে দূরে থাকার জন্য আদেশ দেয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের জন্য কী কী হালাল করা হয়েছে? হে নবী! আপনি বলে দিন, তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সেসব জিনিস যা পবিত্র’ (সুরা মায়েদা : ০৪)।


There is no ads to display, Please add some