একজন প্রকৃতি প্রেমি ও মানব হিতৌসী মানুষ সাইফুল ইসলাম নাবিল
প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২২, ২:০৪ পূর্বাহ্ন /
১০০৭
ফজলুল হক মনোয়ার
সাইফুল ইসলাম নাবিল, বগুড়ার ধুনট উপজেলার সন্তান। একজন আদর্শ শিক্ষক। কর্মরত আছেন সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী আলীয়া মাদ্রাসায়।
তার সাথে আমার পরিচয় হয় কাজিপুরের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালে।
এরপর থেকে কাজিপুরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসাথে কাজ শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাশাপাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন নিয়েও কাজ শুরু করি। ২০১৭ সাল হতে শুরু হয় রাস্তার পাশে তালবীজ লাগানো, এরপর আগামী প্রজন্মের গুড়ের চাহিদা মেটানোর লক্ষকে সামনে নিয়ে শুরু হয় খেজুরের বীজ লাগানো, পাশাপাশি অন্যান্য গাছের চারা লাগানো।
এরই সূত্রধরে প্রয়াত কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে স্কুলে স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে কুইজ প্রতিযোগিতা করে গাছের চারা বিতরনের কাজ , যার মাধ্যমে শুরুহলো ছাত্রছাত্রীদের বৃক্ষপ্রেমী করে তোলা।
এরই একপর্যায়ে শুরু হলো ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে স্কুল ভিত্তিক তালবীজ সংগ্রহের কার্যক্রম ।
ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন রাজফুল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।
যার মাধ্যমে গরীব মানুষকে বিনামূল্যে দিচ্ছেন হোমিও চিকিৎসা।
নিজের বেতন, পৈতৃক সম্পত্তি আয় ও অন্যান্য আয়ের একটি অংশ এই খাতে ব্যয় করেন। রাস্তার ধারে তালখেজুরের বীজ রোপণ করে বেশী সফলতার সম্ভবনা অনেকটা কমে যায়, মানুষের কিছুটা অনিহা ও রাস্তা চওড়া করার কারনে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সারাদেশে ট্রেন লাইনের পাশে তাল খেজুরের বীজ রোপনের।
একাজের তহবিল সংগ্রহের জন্য শুরু করলেন মৌমাছি পালন।তার ম্যধ্যমে মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করে তহবিল বৃদ্ধির চেষ্টা করেন।
বীজ সংগ্রহের জন্য তিনি প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন নাটোর, খুলনা, যশোরে।
এখন পূরদমে চলছে তার রেললাইনের ধারে তাল, খেজুরের বীজ লাগানোর কাজ।
গতমাসে তাকে উৎসাহ দিতে গিয়েছিলাম তার সাথে বগুড়ায় তালবীজ রোপন করতে।
তার পরিকল্পনা, এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের গুড়ের চাহিদা মেটাবেন, তাল খেজুরের পাতায় অনেকের কর্মসংস্থান হবে, তৈরি হবে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্হল। প্রকৃতি পাবে অক্সিজেন, তাল গাছ বজ্রপাতের ক্ষতি হতে প্রকৃতিকে রক্ষা করবে।
এমন একজন প্রকৃতি প্রেমি মানব হিতৌসী মানুষকে অন্তরে স্হান দিতে কার না ভালো লাগে?
আমি তার জীবনের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি। দেশে তারমত আরো প্রকৃতি প্রেমি জন্মনিক, সুখী হোক প্রকৃতি, সুখী হোক প্রকৃতির মানুষ ও পশুপাখি।
আপনার মতামত লিখুন :