[gtranslate]

কাজিপুরে বালু উত্তোলনে হুমকিতে নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ও নতুন চর


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ন / ১২৩
কাজিপুরে বালু উত্তোলনে হুমকিতে নদী তীর সংরক্ষণ কাজ ও নতুন চর
মুকুল হোসেন:

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদী থেকে বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে একদিকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী তীর সংরক্ষণ কাজ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে, অন্যদিকে জেগে ওঠা নতুন চরগুলো পুনরায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নদী তীর থেকে অন্তত এক হাজার মিটার দূরে বালু উত্তোলন এবং পাঁচশ মিটার দূরে বালু সংরক্ষণ ও বিক্রির বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁধ থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরেই শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন শত শত বলগেট দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এমনকি নদীর কোলঘেঁষেই বালু মজুদ ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত পয়েন্টের বাইরে খাসরাজবাড়ী চর থেকে শোভগাছা পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত স্থানে বালু উত্তোলন চলছে। এতে নতুন চর গঠনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং স্থানীয় কৃষকদের আবাদি জমির পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অল্প কয়েকজন প্রভাবশালীর স্বার্থে পুরো কাজিপুরের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে অস্বাভাবিক নীরবতা পালন করছে।

এদিকে নদী থেকে উত্তোলিত বালু প্রতিদিন শত শত ট্রাকে বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বেপরোয়া ট্রাকচালকদের কারণে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দিনের বেলায় এসব ট্রাক চলাচলের ফলে সোনামুখীসহ আশপাশের বাজার এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় যানবাহন চালক ও পথচারীরা।

এ বিষয়ে কাজিপুরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা জাহান সুমাইয়া বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বালুমহাল সংক্রান্ত সব নথি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।