এস এম রুবেল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রশান্ত সাহার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে শত মানুষের ভীড়ে খাবার টেবিলে খাবার খেতে বন্য প্রাণী হনুমান ঢুকে পড়ে।
শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌরসভার ছোট কামার গ্রামে প্রশান্ত সাহার নিজ বাড়িতে তাঁর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে শত মানুষের মাঝে দুপুরের খাবার খেতে উন্মুক্ত বন্য প্রাণী হনুমানটি খাবার টেবিলে আমন্ত্রিত অথিতিদের সাথে বসে খাবার খেয়েছেন।
এ খবর ভরা মজলিশে ছড়িয়ে পড়লে সোরগোল পড়ে যায়। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এ দৃশ্য দেখতে রিতিমত ভীড় জমায়েত করেন।
প্রেসক্লাব বোয়ালমারীর সাধারন সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, খাবারের টেবিলে উঠে উন্মুক্ত বন্য প্রাণী ক্ষুধার্ত হনুমানটি আমার প্লেট নিয়ে খাওয়া শুরু করে। বন্যপ্রাণীটির কাছে খাবারের প্লেট ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, ওই টেবিলে প্রায় ৭-৮ জন লোক বসা ছিলেন, তারাও এক পর্যায় উঠে দাঁড়ায়। এর ভেতরে হনুমানটা আমার প্লেটের খাবার পছন্দ করেছেন। তিনি আরও বলেন, হয়তোবা হনুমানটি চিংড়িমাছ মাছ পছন্দ করেনা আবার আমার প্লেটে চিংড়িমাছ ছিল না সে জন্যই মনে হয় খাবারটা পশুটি পছন্দ করেছে।
পরে মৃত প্রশান্ত সাহার পুত্র বধু শ্রেয়া সাহা আরও ভাত, মাছ, মিষ্টি, দই নিয়ে দিলে খাওয়া শেষ করে জগ থেকে পানি খেয়ে কেতাদুরস্তভাবে মজলিশ ছেড়ে চলে যায় হনুমানটি।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক মিনু সাহা বলেন, এরকম দৃশ্য আমি প্রথম দেখলাম। এটা বিরল ঘটনা।
আমরা খুশি হয়েছি, যে বনের পশুও এসে আমার স্বামীর শ্রাদ্ধর খাবার খেয়ে গেলো। এতে হয়তো আমার প্রয়াত স্বামীর মঙ্গল হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বন্য পশু হনুমানটি হয়তোবা কোন ট্রাকের ওপর চড়ে বন থেকে লোকালয়ে এসে পড়েছে। তাঁর ক্ষুধার্তের কারণে কোন বাঁধা না মেনে ভরা মজলিশে ঢুকে খাবার খেয়েছে। এমন বহু বন্য প্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তাই আমাদের উচিত বন্য পশু গুলোকে খাবার খেতে দিয়ে কোন প্রকার আঘাত বা বন্দি না করে উন্মুক্ত ঘুরে বেরাতে সহায়তা করা উচিত। তাহলে পশু গুলো আবার এক সময় নির্দিষ্ট স্থানে চলে যাবে, এবং পরিবেশ পরিচিতিও ঠিক থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :