[gtranslate]

খাগড়াছড়ি-গুইমারার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে বিজিবি


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ৯:৪৬ অপরাহ্ন / ৫৬
খাগড়াছড়ি-গুইমারার উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সীমান্তে কঠোর নজরদারিতে বিজিবি
ডেস্ক রিপোর্ট :

খাগড়াছড়ি ও গুইমারার উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কর্নেল মোত্তাকিম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিজিবির তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কর্নেল মোত্তাকিম বলেন, “বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণেই খাগড়াছড়ি ও আশপাশের এলাকায় কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করলে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে। সীমান্তে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে, যাতে ওপাশ থেকে কোনো অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করতে না পারে। পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

সংবাদ ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের (৩২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরান কবির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান ও ইউছুপ আলী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এক কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুষ্কৃতকারীদের হামলায় গুইমারায় প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনায় তিনজন নিহত হন। এসময় গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য ও ১৩ জন সেনাসদস্য আহত হন।

এ বিষয়ে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বর্তমানে খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করছে।