গোদাগাড়ীতে রিকশা চালককে গরম রড দিয়ে নির্যাতন, প্রধান আসামী গ্রেপ্তার


প্রকাশের সময় : জুন ২৪, ২০২৪, ৯:৫০ অপরাহ্ন / ৫১
গোদাগাড়ীতে রিকশা চালককে গরম রড দিয়ে নির্যাতন, প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

 

মোঃ রবিউল ইসলাম মিনাল:স্টাফ রিপোর্টার

গোদাগাড়ীতে এক রিকশা চালককে লোহার রড গরম করে  হাত পা বেঁধে  রাতভর  নির্যাতনে  রাস্তায় ফেলে রাখে। সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির সামনে অচেতন অবস্হায়  পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এই মর্মান্তিক  ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের নাম মোঃ সুজন (২৪) পিতা মৃত সাহজাহান আলী।
রিকশা চালক সুজন জানান, ২২ জূন
আনুমানিক রাত ১১:৩০ ঘটিকার সময়  রবিউল  ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি  রিক্সা ভাড়ার নেওয়ার জন্য আমাকে তার  বসত বাড়ীতে ডাকে, আমি তার বাড়িতে গেলে  দলবদ্ধ হয়ে  তার বসত বাড়ীর শয়ন ঘরের ভিতর আমাকে আটক করে।  হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে  জখম করে।

যুবক আরো জানান  ৫/৭জন ব্যাক্তি  মাটিতে শোয়ায়ে তার হাত-পা চেপে ধরে থাকে এবং  হাতে থাকা লোহার রড আগুনে গরম করে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিঠে একাধিক স্থানে ছেকা দিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ বাবু জানান রিকশা চালক সুজনকে পশুর   মত নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে মানুষ মানুষকে মারতে পারে?  তার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তা দেখে সবাই চমকে উঠবে। যারা এভাবে তাকে নির্যাতন করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এর বিচার চাই।

এঘটানায় নির্যাতিতের বড় ভাই মোঃ জামিল হোসেন গোদাগাড়ী মডেল থানায় পাঁচজন নামসহ অঙ্গাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। আসামীরা হলেন ১। মোঃ কামরুল ইসলাম রিহন (২২), পিতা-মোঃ মনিরুল ইসলাম ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৫০), পিতা-অজ্ঞাত ৩। মোঃ বাবু (২৫), পিতা-মোঃ রবিউল ইসলাম ৪। মোসাঃ পারভীন (৪৫), স্বামী-মোঃ রবিউল ইসলাম ৫। মোসাঃ মরিয়ম (৩০), স্বামী-মোঃ দবির সর্বসাং-মাদারপুর, থান-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহী।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার  অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জানান, রিকশা চলক  সুজনকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে।