সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বুধবার রাতে চন্দনকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন বিচারক। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় চন্দন। প্রাথমিক ভাবে চন্দন নিজে এবং তার আরেক সহযোগী রিপন মিলে আইনজীবী আলিফকে কোপানোর কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। জবানবন্দি দেওয়ার পর চন্দনকে আইনানুযায়ী কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ইতোমধ্যে ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার করা হয়।
সুত্র-দৈনিক ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :