প্রেস বিজ্ঞপ্তি:- আজ ০৮ আগস্ট, ২৪ রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হল রুমে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও আগামীতে করণীয় শীর্ষক জরুরী সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা সংস্কারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠে। আন্দোলনকে দমানোর জন্য স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েও যখন আন্দোলন দমাতে পারেনি তখন পুলিশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে গণহত্যা চালায় অতঃপর আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। ছাত্র জনতার প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলনের পর কিছু দুষ্কৃতকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়ী দোকানপাট উপসনালয়, থানাসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাষ্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়, এমনকি ভাড়া করে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল দিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সারাদেশের ছাত্র জনতাকে দুষ্কৃতকারীদের হামলা রুখে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের নামে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও আটক সব ছাত্র-জনতার মুক্তি, সব হত্যা-নির্যাতনের তদন্ত ও বিচার, ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশদাতা ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সরকারের মন্ত্রী, পুলিশ-র্যাব-বিজিবির কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সব হত্যার মূল নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’ মৃত্যুর প্রকৃত হিসাব বের করা, গুম-খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ, অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা, সিনেট-সিন্ডিকেট কার্যকর এবং উপাচার্য নিয়োগে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোরকম একাডেমিক ও প্রশাসনিক হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করা, দেশব্যাপী শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পরিবারকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা, সারা দেশে সব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ উপাচার্য-প্রক্টরসহ দায়ী ব্যক্তিদের অপসারণ নিশ্চিত করা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দমন-পীড়ন নির্যাতন যেন না চলে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া, নিপীড়নমূলক সব আইন বাতিল, সব রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
সভা শেষে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শৃঙ্খলা কমিটি করা হয়। কমিটির আহবায়ক করা হয় সংগঠনের প্রচার সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ ও যুগ্ম আহবায়ক করা হয় সংগঠনের পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়ামকে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন বিজয়, সহ সম্পাদক আকবর হোসেন, রিয়াজ মাহমুদ প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক
যুবায়ের রহমান
দপ্তর সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ
আপনার মতামত লিখুন :