ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে দিশে হারা পিতা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৫, ২০২২, ৯:১৩ অপরাহ্ন / ৩৮৮
ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে দিশে হারা পিতা

 

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ।
বিয়ে করে সুখের সংসার বাঁধতে চায় সকল নারী ও পুরুষ। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কারো সংসার ভাঙ্গে, জেদের বসে, পরকিয়া ও উভয়ের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ছাড়াও অর্থের লোভে স্ত্রী স্বামীকে ও স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছে।

এরকমি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী এলাকার উসমান উদ্দিনের পুত্র মনির হোসেন এর সাথে গফরগাঁও উপজেলার হরিনা এলাকার মৃত সোরহাব মিয়ার মেয়ে ফিরোজা আক্তার এর সাথে ধর্মীয় নিয়মিত নীতি মেনে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নিজেদের মধ্যে চলছিল বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা।

স্বামী মনির স্ত্রী ফিরোজাকে মানিয়ে নিতে বহু চেষ্টা চালিয়ে যেতে যেতে একটি সন্তানের বাবা। সন্তান হওয়ার পর থেকে চলছে উল্টো পথে স্ত্রী ফিরোজা। কোন ভাবেই তাদের সংসারে দু’জনের মধ্যে বনিবনা হয়নি। পরে গ্রাম্য শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দু’জনকে আলাদা করে দেয়া হয়।

তখন কাবিন এর টাকাসহ ছোট বাচ্চার খরচ দেয়ার কথা ছিল মাসে ১৫০০/- টাকা। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ১৫০০/- টাকা করে দিয়ে আসছে মনির। মনিরের সন্তান লালনপালনের টাকা নিচ্ছে স্ত্রী পক্ষ। কিন্তু মনিরকে তাঁর সন্তানের সাথে দেখা করতে দেয় না। মনির তাঁর সন্তানের মায়ায় ও সন্তানকে একনজর দেখার জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে খুঁজে পায় ভালুকার এক মাদরাসায় লেখা পড়া করছে।

তখন মনির খুঁজ পেয়ে তাঁর সন্তানকে দেখতে যায়। দু-হাত ভরে আদর করে ছেলেকে। বুকে টেনে নেয় মনির তাঁর সন্তান। ছেলেকে খুঁজে পেয়ে মনির খুব খুশি। এদিকে ফিরোজা আরেক স্বামীর সাথে ঘর সংসার করছে।

মনির সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশকে জানায়, আমি ৭ বছর আগে কাবিনের টাকা পরিশোধ করেছি। শালিসি দরবারে রায় মোতাবেক আমার সন্তানের খরচ ১৫০০/- টাকা নিয়মিত দিয়ে আসছি। কিন্তু গত প্রায় ১ বছর যাবত ফিরোজা এবং আমার ছেলের কোন খুঁজ পাইতেছি না।

বহু খুঁজাখুঁজি করে ভালুকার মাষ্টার বাড়ি টালি পারা এক মাদ্রাসায় আমার ছেলেকে দেখতে পাই। দেখতে পেয়ে মাদরাসার শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলাম হুজুর আমার ছেলেকে এখানে কে দিয়ে গেছে। তখন হুজুরের কাছ থেকে জানতে পারি অন্য এক মহিলা আমার ছেলেকে দিয়ে গিয়েছে।

পরে খবর নিয়ে দেখি ফিরোজা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে ঘর সংসার করছে। আমার ছেলের মাসিক খরচ ঠিকই নিচ্ছে কিন্তু আমার ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে দেয় না। তখন জানতে পারি যে মহিলা মাদরাসায় আমার ছেলেকে ভর্তি করিয়া ছিল সে হলো ফিরোজার বোন আর আমার ছেলের খালা।

যখন আমরা সব জেনে গেলাম এখন আবার তাদের কোন খুঁজ নেই। নেই আমার ছেলের কোন খুঁজ। আমি আমার ছেলেকে দেখতে চাই? আমি আমার ছেলেকে দেখতে চাই বলে চিৎকার করে মনির।