ডেস্ক রিপোর্ট-
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলায় সাবেক নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় জাহাঙ্গীর আলমও আসামি।
এদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য জ্যাকবকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সাইফুল ইসলামের আদালতে নাজিম উদ্দিন মামলার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি সাভার মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেকে আইজিপি হাসান মাহমুদ, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, তৎকালীন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ও সাভার মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে নাজিম উদ্দিন আলমসহ নেতাকর্মীরা আমিন বাজার ব্রিজের ওপর অবস্থান করছিলেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। লাঠিপেটা, গুলি চালায়। পুলিশের নিক্ষেপ করা টিয়ারশেল ও শটগানের গুলিতে নাজিম উদ্দিন আলমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন।
সূত্র:কালবেলা।
আপনার মতামত লিখুন :