তৃণমুল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌছে যাওয়ায় দেশে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল খুঁজে পাওয়া যাবে না —–শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১, ২০২৩, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন / ৩৪৬
তৃণমুল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌছে যাওয়ায় দেশে এখন প্রত্যন্ত অঞ্চল খুঁজে পাওয়া যাবে না —–শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি


ছাতক প্রতিনিধি ঃ
শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, তৃণমুল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌছে যায় দেশে এখন আর প্রত্যন্ত অঞ্চল বলতে কোন এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে মধ্যে এ দেশেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। আর স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম শর্ত হচ্ছে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। বিজ্ঞান সম্মত তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর একটি সৃজনশীল শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমেই এ শর্ত পূরন করা হচ্ছে। তিনি বলেন শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধুর মতোই যা বলেন তা করে দেখান। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল সহ বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তা প্রমান করেছেন শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্ত্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে এবং ইউআরসি ইন্সষ্ট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিব ও অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে একটি মহল গনতন্ত্রের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, ২০১৪-১৫ সালে দেশজুড়ে যারা জ্বালাও-পুড়াও চালিয়েছে, তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আবারো মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং দেশের মানুষের কল্যানের স্বার্থে স্বাধীনতা বিরোধি চক্রের কোন ষড়যন্ত্রই বাস্তবান হতে দেয়া যাবে না। যারা বক্তৃতার মাঠে বড়-বড় কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়, তারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকেও পদ্মাসেতু করতে পারেনি, মেট্রোরেল করার স্বপ্ন দেখেনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ কল্পনা করতে পারেনি। তাদের ব্যবর্থতার কারনেই জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশবাসী এখন উন্নয়নের সহযাত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আবু নঈম শেখ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল মান্নান খান, প্রফেসর ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, একুশ পদক প্রাপ্ত শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অরূপ রতন চৌধুরী, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদার এ আলম মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহসান শাহ, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী, সহকারী কমিশিনার(ভুমি) ইসলাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ রজত কান্তি দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, সাংবাদিক তাপস দাস পুরকায়স্থ, ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, ব্রীজ একাডেমির চেয়ারম্যান প্রবাসী আই্য়ূব করম আলী, সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, দোয়ারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালেহা খাতুন, প্রবাসী রফিকুল ইসলাম কিরন, গয়াছুর রহমান গয়াছ, ডাঃ নাছিম হাসান লাভলু, ডাঃ সৈয়দুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রজব আলী, কবির উদ্দিন লালা, প্রভাষক রমেন্দ্র বিকাশ দে, । সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এড. রাজ উদ্দিন। শুভেচ্ছা বতব্য রাখেন, কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক রফিক। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন শিক্ষার্থী পারমিতা দত্ত। স্বাধীনতার ঊষা লগ্নে প্রতিষ্ঠিত ছাতকের প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব বর্নাঢ্য র‌্যালীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিতা শুরু করা হয়। র‌্যালী শেষে কলেজ প্রাঙ্গনে সুবর্ণ জয়ন্তী ফলক উন্মোচন, শান্তির পায়রা অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। কলেজের তিন শহস্রাধিক নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিল। আলোচনা সভা, সৃস্মিচারণ ও রাতে মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের ইতি টানা হয়।##