

হিলি প্রতিনিধি
বর্তমান তীব্র রোদ ও গরমের মধ্যে যেখানে নাজাহাল মানুষ সেখানে ঘনঘন বিদ্যুৎ এর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সারাদিনে ও রাতে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ লোডশেডিং দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এতে শিশু, বয়স্ক থেকে শুরু করে বাসা বাড়ির ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।
ফারজানা আক্তার নামের এক বাড়ির মালিক অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমার বাসায় একটি ছোট বাচ্চা আছে তাকে নিয়ে এই গরমের মধ্যে খুবই দুর্ভোগে আছি।এছাড়া বাসার ফ্রিজে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিংয়ে ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় বরফ গলে যাচ্ছে এবং কাঁচা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার এই চক্রে ঘুম, কাজ, পড়াশোনা-সবকিছুই ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও ঠিকমতো তোলা যাচ্ছে না, ফলে নিত্যদিনের কাজেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। তীব্রে গরমে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ। হিলি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল সাব অফিসের লাইনম্যান গ্রেড-১ হাসানুজ্জামান লোডশেডিং বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এই উপজেলায় বিদ্যুতের বর্তমান চাহিদা ৫ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে মিলছে মাত্র ২ মেগাওয়াট ফলে দিতে হচ্ছে লোডশেডিং। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুইটি ইউনিটে বর্তমানে ১৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে তবে দেশের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার কারণে একটু চাপ বেড়েছে। জে/এ
আপনার মতামত লিখুন :