সুনামগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে টাকা নিয়ে প্রত্যয়ন পত্র দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। প্রত্যয়ন দেয়ার পর প্রতিবেদন দিতে গিয়ে আরও ৫০হাজার টাকা দাবী করেন ওই অধ্যক্ষ।
দিরাই উপজেলার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সোমবার দিরাই উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার বেতাওকা গ্রামের টিপু চৌধুরী ১৯৯৯ ইং সনে হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন।
সম্প্রতি তার পাসপোর্টের বয়স সংশোধনীর জন্য স্কুলের প্রত্যয়ন পত্রের প্রয়োজন দেখা দেয়। তিনি প্রত্যয়নপত্র আনতে গেলে অধ্যক্ষ প্রত্যয়ন পত্রের জন্য ১০হাজার টাকা দাবী করেন। পরে ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন। এরপর প্রত্যয়ন পত্রটির সত্যতা যাচাই করতে সরজমিন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা তদন্তে যান।
ওইদিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি মোবাইলে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ‘টিপু চৌধুরী বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মর্মে নিশ্চিত করেন এবং স্বশরীরে এসে রেজিস্ট্রার খাতা দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পরে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টিপু চৌধুরী মোবাইল ফোনে অনুরোধ জানালে তিনি এ কাজের জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা দাবী করেন।
পরে দ্বিতীয় দফায় মোবাইল কথোপকথনে প্রতিবেদন দেয়ার নাম করে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন অধ্যক্ষ মোঃ সাজিদুল ইসলাম। টিপু চৌধুরী বলেন, প্রথম দফায় অধ্যক্ষ আমার কাছে ১লক্ষ টাকা দাবী করেন। এতো টাকা আমি কোথা থেকে দেব। তাই দ্বিতীয় দফায় উনার সাথে ফোনালাপ আমি মোবাইলে রেকর্ড করি। তখন রিপোর্ট দিতে হবে জানিয়ে তিনি ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। আমার কাছ থেকে পুর্বে ৫হাজার টাকা নেয়ার বিষয়টিও তিনি ফোনালাপে স্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষক ও টিপু চৌধুরীর কল রেকর্ড গণমাধ্যমের কাছে সংরক্ষিত আছে। অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজিদুল ইসলাম বলেন, হাজিরা খাতায় টিপু চৌধুরীর নাম আছে।
তবে তার স্কুলে ভর্তি সম্পর্কিত তথ্য আমি খোঁজ করে পাইনি। টিপু চৌধুরীর ক্লাসমেট দুতিনজনের অনুরোধে আমি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছি। কোন টাকা-পয়সা নেইনি। মোবাইল কথোপকথনের রেকর্ডের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :