
মনজু হোসেন,
স্টাফ রিপোর্টার-
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আজগর আলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ময়নুল হকের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যান-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিলে রাজস্ব আদায়ের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে তদন্ত শুরু করে এ কর্মকর্তা।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই চেয়ারম্যান যোগদান করার পর, ইউনিয়নের প্রতিটি ইটভাটা থেকে ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর আদায় করা হলেও একটাও পরিষদের রাজস্ব আদায় দেখানো হয়নি। মেসার্স এমআরবি ব্রিক্সের প্রোপাইটর মোকবুল হোসেন বলেন, গত মৌসুমে ইউনিয়ন পরিষদে ৭০ হাজার টাকা কর প্রদান করেছি। তবে আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকার রশিদ কেটে দেন। আজগর চেয়ারম্যান ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল ভাটা থেকে কর কম করে নেওয়ার। কিন্তু তা-না করে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। লোহাগাড়া এলাকার এস বিবি ব্রিক্সের ম্যানেজার খগেশ্বর বর্মনসহ একাধিক মালিক পক্ষ ও ম্যানেজার বলেন, গত বছর পরিষদে ৭০ হাজার টাকা কর দিয়েছি। সাড়ে ১৭ হাজার টাকার রশিদ দেয়।এবারও ৭৫ হাজার টাকা চেয়ে পরিষদ থেকে চিঠি দিয়েছে।কিছু করার নাই কোন মতেই চলছি। ভ্যাট, ট্যাক্স, চাঁদা, ডিসি অফিসের এলআর ফান্ড, পরিবেশ অধিদপ্তরকে দিতেই ১০-১২ লাখ টাকা যায়। অটো রাইচ মিলের গোলাম আযম গোলাপ বলেন, প্রতি বছরে ইউনিয়ন পরিষদে কর বাবদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত দন্ডপাল ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান মারেয়া ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ময়নুল হক বলেন, ইউভাটা থেকে গত কয়েক বছর কোন কর আদায় হয়নি। একই কথা বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজগর আলী। তবে বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন জানান, আমি এই পরিষদে নতুন আসছি, এসেই প্রতিটি ইটভাটা ও কারখানাকে নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ দিয়েছি, রাজস্বের টাকা যেন সঠিক ভাবে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিজে তদন্ত শুরু করছি। অভিযুক্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :