বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান খোকনের ৫০ হাজার টাকায় ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা, তাও বাকিতে!


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৪, ২০২৩, ৮:৩৬ অপরাহ্ন / ৬২৬
বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান খোকনের ৫০ হাজার টাকায় ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা, তাও বাকিতে!

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি-
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সালিশ বিচারে এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খোকন সালিশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি দফারফা করেন।

তবে ভিকটিমের পরিবারকে এখনও এক টাকাও পাননি। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।

সুত্র জানায়, উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সিকদারের শ্রবন প্রতিবন্ধী কণ্যা সেতারা বেগমকে (ছদ্মনাম) ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের আব্দুল বারেকের নিকট বিবাহ দেয়া হয়। ওই গ্রামের মোঃ মেনাজ বিশ্বাসের পুত্র রিপন বিশ্বাস তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে বরিশালের একটি হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতার চাচি মাহিনুর বেগম জানায়, ভিকটিমের পিতা আইয়ুব আলী সিকদার সপ্তাহখানেক আগে তার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার চেয়ে ভরপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভরপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খোকন, একজন পৌর কাউন্সিলরের ভাই ও জামায়াতের একজন উপস্থিত ছিলেন।

সালিশে চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খোকন শ্রবণ প্রতিমন্ত্রী গৃহবধূকে ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ রিপনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু অদ্যাবধি এক টাকাও পায়নি বলে জানায় ধর্ষিতার পরিবার।

তবে ভরপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খোকন প্রথমে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। পরে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পাওয়ার পর বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারকে কোন সালিশী করতে পারবোনা বলে জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল ঢাকায় বসে অভিযুক্তের সাথে দফারফা করতে পারে। ভিকটিমের পরিবার ধর্ষণের ঘটনায় চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি কি করে ধর্ষনের সালিশ মীমাংসা করলেন এবং ধর্ষণের ঘটনায় কোন সালিশ মীমাংশার এখতিয়ার তার আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারমান খোকন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাননি।