বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থী নি/খোঁজ- অভি/যোগের তী/র…


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন / ৬১
বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থী নি/খোঁজ- অভি/যোগের তী/র…

আজিজুর রহমান (জয়নাল)স্টাফ রিপোর্টার:

বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকারবাসীর সাথে বিয়ানীবাজার ফায়ার এণ্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মী এবং সিলেট থেকে আসা ডুবুরীরা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে তার সন্ধান পাননি। আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীকে খোঁজতে আবার নদীতে তল্লাশি চালােনা হবে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীর আঙ্গার মোহাম্মদপুর বালুর চর থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় নদীর স্রোত বেড়ে যায় এবং বালুর চরে হঠাৎ ধ্বস দেখা দেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা গভীর করে বালু কেটে নেয়ায় নদীর আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর অংশ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনকে অবৈধ ড্রেজার দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নিতে আহবান জানান।

নিখোঁজ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ সালমান আহমদ (১৩) আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর এলাকার আব্দুল ফাত্তাহ’র পুত্র। সে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার দাওরা শাখা থেকে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে বুধবার বাড়িতে এসেছিল।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার পূর্বে চাচাতো ভাইদের সাথে হাফেজ সালমান আহমদ নদীতে গোলস করতে আসে। এ সময় বালু উত্তোলন করতে ড্রেজার মেশিন চালানো ছিল। হঠাৎ করে পানির স্রোতের  সাথে বালুর চরের ওই এলাকায় ধ্বস দেখা দিলে সালমান পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও গ্রামের মানুষ ছুটে এসে নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি জানান। পরে দুপুর ২টার দিকে বিয়ানীবাজার ফায়ার এ- সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা ও সিলেট থেকে ডুবুরীরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান চালান। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় সাড়ে ৫টার দিকে ডুবুরির তল্লাশি অভিযান সমাপ্ত করা হয়।

বিকালের দিকে ঘটনাস্থলে কয়েকশত স্থানীয় জনতা জড়ো হন। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত গ্রামবাসী ড্রেজারে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করার চালাতে চেষ্টা করলে স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে নিয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মস্তফা মুন্না বলেন, একটি ছেলে নদীর পানিতে নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের কোন সম্পৃক্ততা থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।