সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি: বর্ণিল আয়োজনে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, মেডিকেল ক্যাম্প এবং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০:০ টায় উপজেলা যুবদলের আয়োজনে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি প্রথমে বাজার পল্টনঘাট হতে উপজেলায় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা হলরুমে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
যুবদল বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি মো. রেজাউল করিম -এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( BNP) জেলা কমিটির সহ- সভাপতি ও উপজেলার সভাপতি আব্দুল সালাম ফকির।এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাদ মো: সাইম।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা যুব দলের সহ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোস্তফা, মো: শাহ আলম,গ্রাম সরকার জেলা যুবদলের সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন,উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি চাথোয়াই রোয়াজা,রারেক খাঁ,৩ নং ফারুয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি শামসু তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ধন মুনি চাকমা, জয়সিন্ধু চাকমা, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের সভাপতি কবির হোসেন, ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক খুশি বাবু তঞ্চঙ্গ্যা(সুব্রত),উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মো: নাসির, উপজলা মহিলা দলের সম্পাদিকা রাসেদা বেগম, জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: মামুন,ফারয়া যুবদলের সভাপতি যতীন তঞ্চঙ্গ্যা,কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শান্তি রায় চাকমা ( রায় বাবু)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার শত শত নেতা এবং নেতৃত্ববন্দ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো উপজেলার বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে রয়ে গেছে। তাই সে সকল প্রতিষ্ঠানের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুনভাবে নিরপেক্ষ লোক নিয়ে কমিটি করার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং সকল প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, যুবদল সব সময় মানুষের পাশে রয়েছে,থাকবে । যুবদলের কেউ কোনো অনৈতিক কাজ কিংবা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তা বরদাস্ত করা হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর বিদায়ী ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।করেছে হত্যা,গুম,খুন সহ নানা অপরাধ।সুপরিকল্পিত মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল, ফাঁসি দিয়েছে। করেছে অনিয়ম,দুর্নীতি। বঙ্গবন্ধু মূর্তি/ প্রতিকৃতি বানিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এটা ক্যান্সারের মূর্তি।দেশের জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বানিয়েছে।এই মূর্তি সারা দেশে জনগণ ভেঙ্গে দিয়েছে। এটা আর কখনো আসবে না। আসবে না কখনো আওয়ামী লীগ সরকার। মেরে ফেলেছে দেশের জনগণকে। জনগণ তাদের বয়কট করেছে। ২৫ টাকার চাল ৬০ টাকা। যে কোনো ধরনের দ্রব্যমূল্য উর্ধবগতি। শোষণ করেছে। করেছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার।
বক্তারা আরও বলেন, উপজেলা অনেক আওয়ামী লীগের নেতা উন্নয়নে প্রকল্প দেখিয়ে হয়েছে আঙ্গুল ফুলিয়া কলা গাছে। সে-সব তালিকা করেছে বিএনপি। সময় হলে বুঝবেন দুর্নীতি হিসাব অক্ষরে অক্ষরে জবাব দিতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিলাইছড়ি উপজেলা সম্প্রদায়ের সমপ্রীতি উপজেলা। এখানে কোনো ধরনের যেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা না ঘটে সেদিকে সবাই খেয়াল রাখা। ষড়যন্ত্র হতে পারে। নিজের দলের মধ্যে কেউ করলেও তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সহজ হবে না।এজন্য আমরা এখন থেকে যদি জনগণের পাশে থেকে ভালো কাজ করি তাহলে নির্বাচনের সময় ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে হবে না।এমনিতে বিএনপি জয়ী হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে খুনি হাসিনা চোরের মত দেশ ত্যাগ করেছে। এজন্য হাসিনা এবং তার দোসরদের সকলে দেশের মাটিতে বিচারের আওতায় আনা। এতে সভায় আগামী পথ চলার জন্য বিএনপির ডান হাত যুবদলকে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখার জন্য অনুরোধে জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :