বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ৬:০২ অপরাহ্ন / ২৫
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

 

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ শনিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর ) সংগঠনের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মুক্তার এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে, দেশে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে বহু আগে থেকেই ষড়যন্ত্র চলমান ছিলো। যার অংশ হিসেবে অতীতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল। স্বকীয় ধারার ছাত্র সংগঠন গুলোকে আইন করে দলীয় লেজুড়বৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। দলের লেজুড়বৃত্তি করা গুটি কয়েক ছাত্র ও শিক্ষকের জন্য শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি নিষিদ্ধের মতো আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত হতে পারে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র সমাজের আহ্বানে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল শক্তিকে নিয়ে যখন একটি জাতীয় সরকার গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ চলছে তখন ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রেতাত্মা। তাদের এই পাঁয়তারায় উৎসাহ যোগাচ্ছে অতীতে পরাজিত শক্তির দোসররা।

আমরা অবিলম্বে এই ধরণের আত্মঘাতি তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

একই সঙ্গে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে সেই শক্তিকে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার অংশ হিসেবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানাই।