জিল্লুর রহমান জিল্লু,
আজ ২১ মার্চ বিশ্ব কবিতা দিবস। মানব মনের সৃজনশীল চেতনায় ধারণকৃত নান্দনিক কথামালার অপরূপ কারুকাজ উদযাপনে বিশ্ব ব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো অধিবেশনে ২১ মার্চকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে কখনও কখনও ৫ অক্টোবর। আবার রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালন করা হয়। এ দিবসে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনের স্বীকৃতি ও গতিবৃদ্ধি করে। কবিতা কাকে বলে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মতে “জনগণকে জাগিয়ে তোলার অস্ত্রই হলো কবিতা”। চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মতে “কবিতার এমন চিত্রকার্য যা দেখার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়”। ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর মতে কবিতা হচ্ছে “শক্তিপ্রদ আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ”।
আবেগ অনুভূতি উপলব্ধি ও চিন্তার সংমিশ্রণে সংক্ষিপ্ত রূপে বিভিন্ন উপমায় অলংকৃত ভাষায় নান্দনিক সৃজনশীল সৃস্টি হচ্ছে কবিতা। কবিতা এক ধরনের সাহিত্য যা একটি চিন্তা প্রকাশ করে, একটি দৃশ্য বর্ণনা করে অথবা একটি গল্প বলে।
কবিতা হলো একজন কবির আবেগ, অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তার সংক্ষিপ্ত রূপ। আভিধানিক অর্থে কবিতা হলো কাব্য, পদ্য, শ্লোক কল্পনা মিশ্রিত ছন্দময় রচনা। কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ছন্দ। কবিতর মাধ্যমে ফুটে উঠে কবি মনের আবেগ অনুভূতি প্রেম-প্রকৃতি, বিরহ বেদনা, সমাজচিত্র, জীবন দর্শনের কাব্যিক ছবি। কবিতার মূল উদ্দেশ্য হলো পাঠক বা শ্রোতারা মনে আবেগ বা ভাবনার আলোড়ন তৈরি করা। কবিতার ছন্দ, উপমা, রূপক, শৈল্পিক অলংকরণ শক্তিশালী হয়ে জয করে পাঠক হৃদয়। বিশ্বের সকল ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষার কবিতা পৌছেছে অনন্য উচ্চতায়। জয় কবিতা দিবস। জয় হোক বাংলা কবিতার, বাংলা ভাষার।
আপনার মতামত লিখুন :