[gtranslate]

ভাণ্ডারিয়ায় কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ৮:১৬ অপরাহ্ন / ১৩৫
ভাণ্ডারিয়ায় কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, পিরোজপুর:

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিককে (৬) শিকলবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবাসিক ছাত্র ওসমান মল্লিক দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। এ কারণে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তার পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে রাখে এবং স্বাভাবিক পাঠদান চলতে থাকে। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথা সৃষ্টি হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। পরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আক্তার বিষয়টি জানতে পেরে ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তারা গিয়ে শিশুটির শিকল খুলে দেন।

ভুক্তভোগী ওসমান মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছে।

মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া বলেন, ওসমান দুইবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে তার বড় ভাই আবুবকর মল্লিক শিকল ও তালা এনে দিয়ে যান। তার অনুরোধেই শিশুটির এক পায়ে শিকল দেওয়া হয়েছিল। শিশুর বড় ভাই আবুবকর মল্লিক বলেন, ওসমান পড়াশোনায় মনোযোগী নয়। দুইবার পালিয়ে গিয়েছিল, তাই বেঁধে রাখতে বলেছিলাম। এখন বুঝেছি এটা ভুল ছিল, এমন আর হবে না।

এ বিষয়ে ভাণ্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ূম খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিকল খুলে দেওয়া হয়েছিল। অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।