মনোয়ার ইমাম,
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত-
আজ সকালে ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসের মুঘলাগাড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এবং এই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎ প্রসাদ বিতরণ করার সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে ঠেলাঠেলিতে এক সময় পদপৃস্টে মৃত্যু হয় প্রায় ১২১ জন নাগরিকের। তার মধ্যে বাচ্চা শিশু ও মহিলা রয়েছে। ঘটনার পর সেখানে ছুটে যায় এটা জেলার পুলিশ সুপার শ্রী রাজেশ কুমার সিংহ।
সেই সঙ্গে ছুটে আসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। তার মন্ত্রী সভার সদস্য লক্ষ্মী নারায়ণ সিং ও সন্দীপ সিং সিকদার ছুটে আসেন। এটা জেলার রতিভানপুর এর এমন ঘটনার পর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা আয়োজকরা জানিয়েছেন যে হঠাৎ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে ঠেলাঠেলিতে এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। আহত হন মানুষদেরকে এটা জেলার সিকদার গড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় দলিত নারীদের উপর গণধর্ষণ ঘটনায় গোটা দেশের কাছে মাথা হেঁট হয়ে যায় উত্তর প্রদেশ সরকারের। আজকের এই ঘটনার পর ভারতের লোকসভায় উঠছে। এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদদের এবং বিরোধী দলের সদস্যরা এই ঘটনার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের দায়ি করে যোগী আদিত্য নারায়নের পদত্যাগ চাইছে। ঘটনার পর ইতিমধ্যেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে ঘটনার স্থানে যাচ্ছে সাবেক উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতের লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী। এই ঘটনার পর কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নারায়ণ।
আপনার মতামত লিখুন :