আবদুল মান্নান :
ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থনের ঘটনায় ভারতীয় সরকার নরেন্দ্র মোদীকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, তা না’হলে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করা হবে। বাংলাদেশে বসে দুধ-কলা খাবেন,কিন্তু আমার নবীকে নিয়ে কটূক্তি করবেন তা বাংলার জনগণ সহ্য করবেনা বলে হুশিয়ারি করেন পরশুরামের উপজেলা জামায়াতে আমির মাওলানা আব্দুল আলিম।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন ও ও ওই ঘটনা ভারতীয় সরকার নীরব অবস্থান থাকার প্রতিবাদে পরশুরামের মির্জানগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বললেন মাওলানা আবদুল হালিম। এ-সময় তিনি আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ভারতের তাঁবেদারি করতে গিয়ে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করার পরেও কোন প্রতিবাদ সমাবেশ করে নাই এবং আমাদেরকেও করতে দেয় নাই।তাই আমি মনে করি তাদের ঈমান ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই তাদের নতুন করে কালেমা পড়ে মুসলমান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রিয়নবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মঙ্গলবার(১ অক্টোবর) রাতে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মির্জানগর শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায়ের পরে মুসল্লী এবং তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে বাজারে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে সুবার বাজারের পোস্ট অফিস রোড সংলগ্ন প্রধান সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মির্জানগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইউছুফ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরশুরাম উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল হালিম, পরশুরাম পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ কাওসার, সাবেক জামায়েত নেতা মাওলানা আব্দুর রহিম, মির্জানগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা ফজলুর করিম সহ জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে বক্তারা বাংলাদেশে বিদ্যমান ভারতীয় পণ্য বয়কট করার আওয়াজ তোলেন এবং বিশ্ব নবীকে নিয়ে কটুক্তি করা সেই ব্যক্তি এবং বিজেপি নেতা সহ ভারতীয় সরকার নরেন্দ্র মোদীকে জনসম্মুখে ক্ষমা না চাইলে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করার হুশিয়ারি করেন। প্রিয় নবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় তৌহিদি জানতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন এবং অবমাননার দায়ে অপরাধীকে ফাঁসির জোর দাবী জানান।
আপনার মতামত লিখুন :