মানিকছড়ির একজন দুস্থ, অসহায়, ভূমিহীন ও বিধবা মহিলাটির দিনলিপি


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৮, ২০২৪, ৯:০০ পূর্বাহ্ন / ৭০
মানিকছড়ির একজন দুস্থ, অসহায়, ভূমিহীন ও বিধবা মহিলাটির দিনলিপি

এম. জুলফিকার আলী ভূট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ডেপুয়া পাড়ার বর্তমান বাসিন্দা ম্রাচং মগিনী, বয়স আনুমানিক ৬৭ বছর, স্বামীমৃত-বনেরাম, পিতামৃত-দুবা মগ, মাতামৃত-আগতি, পূর্বের ঠিকানা-তবলা পাড়া, ডাকঃ ও উপজেলা-মানিকছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।

গত ৭ জুলাই-৩০২৪ রবিবার সকালে একটি বিশেষ কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য অত্র উপজেলার ডেপুয়া পাড়ায় কাজ করা সুবাধে এই অতি দারিদ্র পীড়িত মহিলার বাসায় উপস্থিত হই। বাংলা ভাষা কম বুঝা ও বলা এই দুস্থ ও অসহায় মহিলার সাথে আলাপ করে জানা যায়, তার স্বামী আজ থেকে ৪ বছর পূর্বে মারা যান। তার ছেলে মেয়ে যা ছিল তাও তার স্বামী মারা যাওয়ার পূর্বে মারা যায়। তিনি এই ধরাধামে বর্তমানে একাই, তার নিকট আত্মীয় বলতে বর্তমানে আর কেউ বেঁচে নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর দুস্থ, অসহায় ও ভূমিহীন এই মহিলা একই উপজেলার ডেপুয়াপাড়া এলাকায় তার মৃত বড় বোন মেচাই মারমার সন্তানদের নিকট আশ্রয় নিয়েছেন।

ছবিতে প্রদর্শিত একটি ঝুপড়ি ঘরে তার বর্তমানে বসবাস। নড়বড়ে ডেস দিয়ে রাখা তার নির্মিত ঘরটি বর্ষা মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে কোনক্রমে রক্ষা পান না তিনি। এই অসহায় মহিলার স্বাচ্ছন্দে একটু বসবাস করার ভালো একটা ঘর তার নেই। যে ঘরটি আছে তা বৃষ্টি এলে বৃষ্টির পানি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে, গৃহখানা বর্ষা মৌসুমে বসবাসের একদম অনুপযোগী সামনের শীতকাল এলে তো আর কোন কথাই নেই দুর্ভোগের আর সীমা সংখ্যা থাকবে না।

ওই মহিলার সাথে আলাপকালে জানা যায় তিনি ভোটার হয়েছেন কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার পর ভাসমান অবস্থায় একাধিক এলাকায় বসবাস করার কারণে আইডি কার্ডটি হারিয়ে গেছে। জন্ম নিবন্ধন করেছেন কিনা তার জানা নাই।
বয়সের কারণে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করা তার পক্ষে আর সম্ভব না সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করা গেছে। তাই জীবন চলার জন্য মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে চলতে হয় এই দুস্থ, অসহায়, ভূমিহীন ও বিধবা এই মহিলাটির।

এই বিষয়টি নিয়ে অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরা মগ’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,
তিনি আসলেই দুস্থ, অসহায় সহায়-সম্বলহীন বিধবা মহিলা।
যেহেতু সে কর্ম করতে পারে না এবং বসবাস করার জন্য তেমন কোন বসত বাড়ি নেই, তাকে মানবিক কারণে সহায়তা করা একান্ত প্রয়োজন, তাই সমাজের বিত্তশালীদের তার এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত, আমি ও আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সাহায্য ও সহযোগিতা করব।