

ডেস্ক রিপোর্ট
সংবিধান সংস্কার ও জাতীয় সনদ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেএসডি’র সভাপতি জনাব আ স ম আব্দুর রব।
আজ ৩ নভেম্বর ( সোমবার ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় সনদ এবং সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মতামত প্রদানের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় জেএসডি সভাপতি নিম্নোক্ত বিব্রত প্রদান করেন—
উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রতি দেওয়া বার্তাটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার এবং জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের মতো মৌলিক দায়িত্বভার মূলত দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের ওপর ন্যস্ত হয়েছে। এটি একদিকে দলগুলোর জন্য বিশেষ মর্যাদা, অন্যদিকে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সমন্বয়, নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা এবং সামাজিক অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে, তবে এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায় পূরণে তথা বাংলাদেশের সংবিধানিক সংস্কার ও রাজনৈতিক উত্তরণের ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের রাজনৈতিক দলসমূহ ব্যর্থ হলে সরকার নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সন্ধিক্ষণে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিম্নোক্ত চারটি অপরিহার্য নীতিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত:
১. আন্তঃদলীয় সমন্বয় ও জাতীয় ঐকমত্য: সংস্কার প্রক্রিয়ায় দলীয় ভেদাভেদ ভুলে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া;
২. সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব: শুধুমাত্র বর্তমানকে নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লক্ষ্য রেখে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা;
৩. গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতা: সমগ্র প্রক্রিয়াটিকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা;
৪. ব্যাপক সামাজিক অংশগ্রহণ: নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী, কর্মজীবী, শ্রমজীবীসহ সাধারণ জনগণের মতামতকে ধারণ করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
রাজনৈতিক দলসমূহের এই সম্মিলিত ও দায়িত্বশীল উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিবর্তনকে ত্বরান্বিত করবে এবং দেশে একটি টেকসই, শক্তিশালী ও জনগণের আস্থাভিত্তিক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সর্বোপরি ফ্যাসীবাদী ব্যবস্থা প্রতিরোধে এক যুগান্তকারী ভিত্তি স্থাপন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :