সন্দ্বীপে ‘আবু ইউসুফ লিটনের’ উদ্যোগে ব্যতিক্রমী আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত।


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩, ২০২২, ১১:১৮ অপরাহ্ন / ৪২২
সন্দ্বীপে ‘আবু ইউসুফ লিটনের’ উদ্যোগে ব্যতিক্রমী আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত।
সাব্বির রহমান,(সন্দ্বীপ) প্রতিনিধি –

আজ ‘৩রা’ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেল হত্যা দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে চট্রগ্রাম- সন্দ্বীপে,সাবেক ছাত্রনেতা, রাজপথের সাহসী সৈনিক সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী- লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আবু ইউসুফ লিটনের উদ্যোগে সন্দ্বীপ পৌরসভাস্থ (৩) নং ওয়ার্ডের ফোরকানিয়া মাদ্রাসায়, খতমে কোরআন, কোরআনে হাফেজদের মধ্যে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ, দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবস’টি পালন করা হয়।

সন্দ্বীপ পৌরসভাস্থ ফোরকানিয়া মাদ্রাসার হল-রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন, ভাইস- চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী- লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন,উপজেলা আওয়ামী- লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ, যুগ্ন-সাধারণ- সম্পাদক এবং বাউরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী-যুবলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ঘাতকরা কতটা নির্লজ্য হয়ে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ ৪ সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মুনসর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করে। ঢাকা বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম জেল হত্যাকান্ড। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ওই চক্রটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর এগোতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অগ্রসর হয়। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন। বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে তখন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এই চার নেতা আন্দলন- সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ দেশের মানুষ সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। যে অপশক্তি জাতির পিতা সহ তার পরিবার, ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই শক্তি এখনো ওৎ পেতে আছে। তারা বারে-বারে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

“উক্ত সভা-অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, পৌরসভা আওয়ামী-লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ সাজ্জাদ , পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী আনন্দ,সরকারী হাজি এ,বি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতা মঞ্জুর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিশাদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৩রা’ নভেম্বর জেলহত্যায় সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া- মাহফিল,কোরআন খতমের মোনাজাত ও কোরআনের হাফেজদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ শেষে, উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও কোরানের হাফেজ সহ এতিমদের মাঝে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।