সিংড়ায় নতুন এমপিও ভুক্ত স্কুলে সহকারী শিক্ষককে বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৫, ২০২২, ১১:০১ অপরাহ্ন / ৪৪১
সিংড়ায় নতুন এমপিও ভুক্ত স্কুলে সহকারী শিক্ষককে বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

 

সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
আলিফ বিন রেজা

নাটোরের সিংড়ার নতুন এমপিও ভুক্ত সোয়াইড় নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭ বছর বিনাবেতনে পাঠদান করা রোজীনা পারভীন নামের এক সহকারী শিক্ষককে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ মামুন সরকারের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী রোজীনা পারভীন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ননএমপিওভুক্ত সোয়াইড় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী পদে আবেদন এবং পরে নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদান করেন রোজীনা পারভীন। রোজীনা পারভীন রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে।

নানার বাড়ি সোয়াইড় গ্রামে হওয়ার সুবাদে সে নানা বাড়ি থেকেই নিয়মিত স্কুলে গিয়ে পাঠদান করতো।
দীর্ঘ ১৭ বছর বিনাবেতনে পাঠদান করা পর সম্প্রতি ওই স্কুল এমপিও ভুক্ত হলে রোজীনার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার দাবি করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মামুন সরকার। রোজীনা পারভীন টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে বাদ দিয়ে ব্যাকডেট দেখিয়ে ওই পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মামুন সরকার। ভুক্তভোগী রোজীনা পারভীন চাকুরী হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এবিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সোয়াইড় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, আমার সময়ে এই প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ হয় নাই এবং ওই মেয়ের নিয়োগ বিষয়ে আমার জানা নাই। আমি তাকে কোনদিন ক্লাস করতে দেখি নাই।

সোয়াইড় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রফিক খন্দকার জানান সে সময় রেজিনা বেগমকে নিয়োগপত্রের মাধ্যমে যোগদান করানো হইছিলো।এখন তাকে বাদ দেয়া হচ্ছে কোন কারনে আমার বিষয় টা জানা নেই।আমি চাই রোজিনা পারভীন তার পদে যেন বহাল থাকে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।