হিলিতে আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৬, ২০২২, ১০:১৪ অপরাহ্ন / ৪০৪
হিলিতে আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু

হিলি প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। বর্তমানে ধান কাটা হচ্ছে স্বর্ণা-৫ ও গুটি স্বর্ণা জাতের ধান। ফলন মোটামোটি ভাল হয়েছে। কৃষকেরা কিছুটা লাভবান হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে চিন্তিত বর্গাচাষীরা। এদিকে বর্গাচাষীরা বলছেন, জমির দাম বেশিসহ অন্যান্য বছরের চেয়ে এই বছর সার, কীটনাশক, শ্রমিক মজুরী বেশি হয়েছে।

বুধবার ( ১৬ নভেম্বর) হিলির বিভিন্ন গ্রাম ও ধানের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের কুষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নিজের ৫ বিঘা জমিতে স্বর্ণা- ৫ জাতের ধান আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় ( ৩৩ শতক) ধান লাগনো থেকে শুরু করে কাটামাড়াই পর্যন্ত খরচ পড়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ধান হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ মন পর্যন্ত। প্রতিকেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৫ টাকা করে। আর আজ বুধবার ( ১৬ নভেম্বর) হিলি বাজারে প্রতিকেজি ধান বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। এতে প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত থাকছে।

ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বর্গাচাষী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি প্রতিবিঘা জমি ( ৩৩ শতক) ৮ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে ২ বিঘা জমিতে গুটি স্বর্ণা জাতের ধান আবাদ করেছি। জমির দামসহ ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটামাড়াই পর্যন্ত খরচ পড়েছে ২২ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ধান হচ্ছে গড়ে ১৫ মন। প্রতিকেজিতে উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩৬ টাকা। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি। এতে প্রতিকেজিতে লোকসান গুনতে হবে ৪ টাকা করে। খড় বিক্রি করে সেই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে যাবে। হয়তো সমান সমান হতে পারে। কোন লাভ হবে না।

বোয়ালদাড় গ্রামের বর্গাচাষী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গেলো বছর ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে লাভ হয়েছিল। এবার হচ্ছে না। কারণ জমির মালিককে প্রতি বিঘায় ২ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এছাড়াও কৃষি সামগ্রীর দাম গেলো বছরের চেয়ে বেশি। তাই লোকসান গুনতে হবে।

বৈগ্রাম গ্রামের আফিল উদ্দিন বলেন, আমার জমিতে সব ধানে কারেন্ট পোকা ধরে সব ধান নষ্ট করে দিয়েছে। আমি গতকাল আমার ধান কেটেছি । জমি থেকে এইবার শুুধু খড় নিয়ে আসতে হবে। অনেক কয়েকবার কিটনাশক ঔষধ দিয়েও কাজ হয়নি। এইবার আমার না খেয়ে মরতে হবে। আমার তো বেশি বাশা জমিও নেই যে একটা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে । আর একটা জমির ধান খাব??

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১শ ১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতিবিঘায় ১৪ থেকে ১৫ মন ধান ফলন হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের সবধরনের সহায়তা করেছে।

১৬.১১.২২


There is no ads to display, Please add some