অধ‍্যক্ষ পদের দুইজন দাবিদার থাকায় নীলফামারীতে কৃষি কলেজ শিক্ষার্থী শুন্য


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২১, ২০২২, ৮:২৫ অপরাহ্ন / ৪৬০
অধ‍্যক্ষ পদের দুইজন দাবিদার থাকায় নীলফামারীতে কৃষি কলেজ শিক্ষার্থী শুন্য

 

 

মোঃ সামিউল আলম সায়মন নীলফামারী  প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর জলঢাকা  মিজানুর রহমান  চৌধুরী  কৃষি কলেজ শিক্ষার্থী শুন্য, এখণ শুধু কাগজে কলমে।

উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌপুথী নামক এলাকার  অবস্থিত  মিজানুর রহমান চৌধুরী কৃষি  কলেজে নেই ছাত্র-ছাত্রীদের আনাগোনা। কৃষি  বিষয়ে  উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পুরনে হাতে বই খাতা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল যেন নিভৃত পল্লীগ্রামের শোভা মান বর্ধিত করতো।

এলাকাবাসীর স্বপ্ন প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে চলতে থাকে কলেজটি। এ কলেজ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার আলো।

বর্তমানে  কলেজটি  এমপিওভুক্ত  হওয়ার পরেও অধ্যক্ষ পদে দুই জন শিক্ষক দাবী করায় তাদের  মামলা মোকদ্দমার কারনে  মুখ থুবড়ে পড়েছে কলেজের পাঠদান কার্যক্রম।ফলে বন্ধ হয়ে যায় কলেজের চলার গতি। এক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কোলাহলে মূখরিত কলেজটির এখন বেহালদশা।

সরেজমিনে গিয়ে কলেজে তথ্য সংগ্রহ কালে দেখা যায়, ভবন সমুহের  দরজা-জানালা নাই,  নষ্ট হয়ে ও খুলে নিয়ে গেছে কে বা কাহারা।  আর শ্রেণী কক্ষের ভেতর ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি ও বারান্দায় জুয়ারু ও নেশা খোরদের আড্ডা,ও খর রাখার নিরাপদ স্থান এবং কলেজের দ্বিতীয় তলায় কর্মচারী পরিচয়ে ৩ জন লোক বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা তথ্যদিতে অস্বীকার করেন।

পরে তথ্যের জন্য কলেজ অধ্যক্ষের একজনের সাথ মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পরে যোগাযোগ করতে বলেন।

তাছাড়া কলেজটিতে পাঠদান শুরুর পর শুনাম ছিল ।এদিকে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবী করা দুই শিক্ষকের মামলা করা সহ  বিভিন্ন  সমস্যার কারনে এ কলেজের পাঠদান বন্ধ আছে।  এক বিঘা জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজে রয়েছে দুই তলার একটি ভবন। একটি পাকা ভবন।  মরিচা ধরে ঝড় বৃষ্টিতে খুলে খুলে পড়ছে দরজা-জানালা।  শ্রেণিকক্ষগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। বর্তমানে  কলেজে লেখাপড়া করার মত কোনো পরিবেশ নেই।

কলেজ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে  আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরীর  নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৬ সালে কলেজটি পাঠদানের অনুমতি পায়। ২০০৭ সালে কলেজটি স্বীকৃতি লাভ করে।

মিজানুর রহমান চৌধুরী  সে সময়  নীলফামারী – ৩ জলঢাকা কিশোরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস ছিলেন।

মিজানুর রহমান চৌধুরী  জোট সরকারের আমলে তার নিজ নামে  প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটি এমপিভুক্ত করতে পারেন নি।

বর্তমান সরকারের সময়ে কলেজটি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরেও  স্বেচ্ছাশ্রমে র্দীঘদিন ধরে কলেজটি পরিচালনার পর আর্থিক অভাব অনটনে শিক্ষক কর্মচারীরা মনোবল হারিয়ে ফেলেছে অধ্যক্ষ দাবী করায় দুই শিক্ষকের কারনে।

কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, শুরুর দিকে কলেজটিতে প্রচুর শিক্ষার্থী ছিল। কলেজের অবকাঠামো নষ্ট ও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। এখন আর এ কলেজে পড়াশুনা হয় না।

এলাকাবাসী বলেন, কৃষি  কলেজটি প্রথম দিকে ভালো ভাবেই চলতো। বিগত ৮ – ৯  বছর ধরে বন্ধ আছে। তাই কলেজে কোন ছাত্র-ছাত্রী আসতে দেখা যায় না এবং কোন পড়াশুনা  হয়না। কলেজটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কলেজের  অধ্যক্ষ দাবী করা দুই জনের একজন বলেন, কলেজটিতে শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। বর্তমান অধ্যক্ষ পদে নিয়ে দুজনের  মামলা চলমান থাকায়  কলেজটি এমপিও ভুক্ত  হওয়ার  পরেও  বেতন ভাতা না  হওয়ায়  তারা মানবতার জীবর যাপন করছেন। বাধ্য হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ বেছে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন কলেজের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বালাগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার  বলেন, কলেজের ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘরের দরজা-জানালাগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। কলেজে বহুদিন যাবত কোনও পাঠদান হয় না।

জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম  বলেন, মিজানুর রহমান চৌধুরী কৃষি

কলেজটির বিষয় আমার জানা নেই।