মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
নওয়াপাড়ায় পৌর এলাকায় ধানী জমি আবাসিক করায় ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা দিতে জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ভিড় করছেন জমি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে। ক্রেতা ও বিক্রেতা লাইনের পর লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তারা বলেন, ধানী জমি কিনে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা দিতে শতক প্রতি ২০ টাকা দিতে হবে বলা হয়েছে। এ দিকে খতিয়ান পর্চাতে ধানী জমি উল্লেখ থাকলেও ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনায় এখন আবাসিক উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার কোন কাজে হাত দিচ্ছেন না। সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র জানায়, পৌর এলাকার ভিতর সব জমি বাস্তব ভিটা (আবাসিক) ডাঙ্গা (আবাসিক)এর মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনার আওতায় আসবে। তাছাড়া ইউনিয়নের ধানী জমিতে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা আগের অবস্থানেই আছে। তাতে কোন সমস্যা নেই। বর্তমানের পৌর ভিতরের সব জমি সর্বচ্চ মূল্যে দিতে হবে।বলে বলা হচ্ছে। নতুন নিয়মে অনুযায়ী, ইউনিয়নের গ্রামীণ এলাকাতেই কৃষি জমি থাক না কেন ২৫ বিঘা পর্যন্ত (৮ দশমিক ২৫ একর) ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। এ মওকুফের আওতায় আসবে আখ ও লবণ চাষের জমি এবং কৃষকের পুকুর (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ছাড়া)। তবে কৃষি জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে প্রতি শতকের জন্য বছরে দুই টাকা হারে কর দিতে হবে। চা, কফি, রাবার, ফুল বা ফলের বাগান এবং বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য ও চিংড়ি চাষ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খামার ইত্যাদি বিশেষ কাজে যেকোনো পরিমাণ ভূমি ব্যবহার করলেও শতক প্রতি দুই টাকা হারে কর দিতে হবে। নতুন নিয়মে নামজারির আবেদনের জন্য কোর্ট ফি পাঁচ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে। এভাবে নোটিশ জারি ফি দুই টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা, প্রতি কপি মিউটেশন খতিয়ান সরবরাহ ফি ৪৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিক শ্রেণি এই তিন শ্রেণিতে ছয় ধাপে কর দিতে হবে। আগে বাণিজ্যিক ও শিল্প এক থাকলেও এবার শিল্পকে আলাদা করা হয়েছে। বর্তমানে পৌর এলাকা আবাসিক শ্রেণিতে ধরা হয়েছে। সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জমির দলিল করতে আসা হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার, খায়রুল সরদার, আজিজুর রহমান,রবিউল ইসলাম, হোসেন শেখ, রহমান মিয়া বলেন, ধানী জমি ক্রয় করে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা দিতে গেলে ভোগান্তি শিকার হই। এই বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুরছি। দলিল লেখক মো. শাহিন হোসেন বলেন, বর্তমানে ধানী জমি ক্রয় করে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা দিতে গেলে ভোগান্তি শিকার যারা হচ্ছেন। তাদেরকে পরার্মশ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। নওয়াপাড়া লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি শাহাজান বলেন, আমরা ধানী জমি, বাগান , ডাঙ্গা, বাস্ত ভিটা জমির শ্রেণী অনুযারী ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা দেব। কয়েকদিন ধরে জমি ক্রেতা বিক্রেতা ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন। রাজঘাট ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী নায়েব ইকবাল হোসেন বলেন, এ কাজে পৌর এলাকায় শতক প্রতি ২০ খাজনা নেয়া হচ্ছে। এর আগে নেয়া হয়নি। সাব রেজিস্ট্রার অফিসার অজয় কুমার বলেন,সরকারে নির্দেশনা অনুযায়ী পৌর এলাকার ধানী জমি (আবাসিকের মধ্যে পড়েছে) যে কারণে ভূমি উন্নয়ন কর ও খাজনা ২০টাকা শতক প্রতি দিতে বলা হয়েছে। তবে পৌর এলাকায় কৃষি উল্লেখ থাকে ।সে জমিতে আগের তুলনায় কর দিতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, এ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমার কাছে অনেকেই আসছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :