মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাবার বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
সরেজমিনে রোগীদের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড ঘুরে পাওয়া যায় এমন অভিযোগের সত্যতা। রোগীর স্বজনরা জানান, ৪-৫দিন ভর্তি হওয়ার পরও পাচ্ছিনা সরকারি কোন খাবার, বাধ্য হয়ে রোগীদের খাবার বাহির থেকে কিনে এনে খাওয়াতে হচ্ছে। আছিয়া নামের মহিলা ওয়ার্ডে এক রোগীর স্বজন জানান, আমার বোনকে আজ ৫ দিন ভর্তি করেছি, কোন খাবার আমাদের দেয়নি, শুধু আমরা নয় এই ওয়ার্ডে যারা আছে কেউ ৫দিন কেউ ৪দিন ভর্তি হয়েছে, আমাদের কোন খাবার দেয়নি হাসপাতাল থেকে, এর আগে আমরা যতবার রোগী নিয়ে এসেছি এমন কখনো দেখিনি বা খাবার নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। এরকম অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ওয়ার্ড ঘুরে পাওয়া গেছে, অধিকাংশ রোগীরা সরাসরি বরাদ্দ খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের সঠিক ভাবে খাবার দেওয়া হচ্ছেনা। নাসরিন আক্তার নামে এক রোগী বলেন, আজ দুইদিন হল আমি ভর্তি হয়েছি, এ পর্যন্ত আমি কোন খাবার পাইনি। পূর্বে ভর্তি হওয়ার পরের দিন থেকে খাবার দেয়া হত, এখন এই দুইদিনে এই ওয়ার্ডে শুধু আমি নই, যারা আছে তাদেরও খাবার দিতে দেখিনি। আগে আমাদের খাবার পেতে সমস্যা হতনা, এখন এমন করছে কেন জানিনা। হাসপাতালে খাবার বন্টন ও নার্সদের দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা দিদির কাছে তার নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে রাজি হননি। খাবার বিতরণে এমন অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ৫০ জনের খাবার দেওয়ার নির্দেশ আছে, এর বেশি হলে তাদের খাবার দেয়ার অনুমতি নেই। ৪/৫ দিন ধরে অনেক রোগী খাবার পায়নি কেন জানতে চাইলে তিনি এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান বাজারে দ্রব্য মুল্যের দাম বেশির অজুহাত দেন। ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ৭৯ জন মোট রোগী ভর্তি আছে, তাদের মধ্যে ১২/১৫ জন রোগী সঠিক ভাবে খাবার পেয়েছে, বাকি সব রোগীরা বাহির থেকে খাবার কিনে খাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ ওহিদুজ্জামানকে ফোন দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ২৪ তাং আগে কোন কথা বলতে পারবোনা, ২৪ তাং প্রধানমন্ত্রী আসবে, তিনি এসে চলে য়াওয়ার পরে আসুন কথা বলবো, এর আগে কোন কথা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :