মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ,ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সেচ্ছারিতা অভিযোগ উঠেছে ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে অত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আহামদ আনোয়ার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে হোল্ডিং ট্যাক্স,জন্ম সনদ, ভোটার হালনাগাদের সময় পরিষদ থেকে দেয়া বিভিন্ন কাগজপত্র ও প্রত্যয়ন পত্রে বিধি বহির্ভূতভাবে টাকা আদায় করে। ১ টি জন্ম নিবন্ধন ১০০ থেকে ২০০ টাকা, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, সমস্থ কাগজ পত্রে এ ভাবে টাকা হাতিয়ে নেয় এ চেয়ারম্যান । অন্যদিকে বিধি বহির্ভূতভাবে ঈদগাঁও-ঈদগড়- বাইশারী সড়ক ইজারা দেয়ার নামে নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আনোয়ার জানান, এ সব অনিয়ম দুর্নীতি চেয়ারম্যান চাপ প্রয়োগ করে এক প্রকার বাধ্য করত। এ টাকা প্রতিদিন তাকে দিয়ে দিতে হত। এ ছাড়া আনোয়ার আর ও জানান, বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা হাওলাদ নেয়। এ হাওলাদের টাকা ফেরত চাইলে ডিজিটাল সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেয়। বর্তমানে সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল জাহানের সময়ের অস্থায়ী উদ্যোক্তা সরওয়ার শিফাকে ডিজিটাল সেন্টারে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম দালালের মাধ্যমে দর কষাকষি চলছে এ ঘটনা ও প্রচার হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান,এসব অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্র মুলক।তবে এটা সত্য যে
ঈদগাও-ঈদগড়-সড়ক ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারাদার দেওয়ার হয়েছে।সড়কে ইজারাদার দেওয়ার নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে আমার আগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সবাই দিয়েছে তাই আমিও দিয়েছি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে, অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ,অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সড়ক ইজারা দিয়ে অর্থ আদায়ের কোন নিয়ম নেই। কীভাবে ইজারাদার দেওয়া হয়েছে বিষয়টি দেখা হবে।
এলাকাবাসী ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :