এম.জুলফিকার আলী ভূট্টো, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি+
মাটির টুকরী ভালো ভাবে শুকিয়ে এর মধ্যে প্রথমে কিছু ছাই ও তার উপর শুকনা খড় বিছিয়ে দিতে হবে। তার ওপর ডিম বসিয়ে দিতে হবে, ছাইয়ের সাথে একটি ন্যাপথালিন গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে। যাতে করে গুনগুনি পোকা না হয়। মুরগিকে উমে বসানোর পর, খাবার পাত্রে খাবার ও পানির পাত্রে পানি দিতে হবে।
উমে বসা অবস্থায় ডিমে তা দেওয়ার সময় মুরগিকে রোজ ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম অথবা ২ মুঠো তৈরি করা সুষম খাদ্য দিতে হবে। সাথে পর্যাপ্ত নিরাপদ খাবার পানি দিতে হবে। তাতে উমে বসা অবস্থায় মুরগির খাদ্য ও পানি খাবে।
শরীর সুস্থ থাকবে, ওজন কমবে না। উমে বসানোর ৫ থেকে ৭ দিনে ডিম ফুটানো উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। রাতে বা অন্ধকারে টর্চ এর মাধ্যমে ডিমের ফুটানোর উপযোগিতা পরীক্ষা করা যায়। টর্চের আলোয় উপর ডিম ধরলে, যদি ডিমের ভিতর রক্তের লাল জালিকা দেখা যায় কিংবা রক্তের স্পট বা অস্বচ্ছ দেখা যায় তবে বুঝতে হবে ডিমগুলি ফুটানো উপযোগী।
আর যদি সাদা বা স্বচ্ছ দেখা যায় তবে বুঝতে হবে সেসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে না। তখন যে ডিম গুলি থেকে বাচ্চা হবে না সেদিন গুলি সরিয়ে ফেলতে হবে অথবা নিজেরা খেয়ে ফেলতে পারেন। ডিম উমে বসানোর সময় অবশ্যই বিকেল অথবা সন্ধ্যায় বসানো ভালো। ডিম বসানোর একুশ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। ( মুরগির ক্ষেত্রে) মুরগির বাচ্চা ফোটার পর ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর বাচ্চাগুলোকে মায়ের উম থেকে সকালে নামালে ভালো হয়।
মুরগির বাচ্চা ফোটার পর বাচ্চা থেকে মাকে গরম কালে ৫ থেকে ৬ দিন এবং শীতকালে ১২ থেকে ১৫ দিন পর আলাদা করতে হবে এবং এই সময়ে বাচ্চাও মাকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :