কামারখন্দে লিফলেট বিতরণকালে হামলায় সাবেক এমপিসহ আহত ২০ জন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২২, ৯:৩৮ অপরাহ্ন / ৩৩১
কামারখন্দে লিফলেট বিতরণকালে হামলায় সাবেক এমপিসহ আহত ২০ জন

তোফায়েল আহমেদ, সিরাজগঞ্জঃ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়লে ত্রিমুখী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি এবং দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালীন ইটপাটকেল ও গুলিতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও চারপুলিশ সদস্য উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর জনসভা সফল করতে কামারখন্দে লিফলেট বিতরন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া ও জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পৌছামাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় তারা সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদের গাড়িসহ চারটি গাড়ী ও ১৫টি মোটর সাইকেল এবং দোকানপাট ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশও বিএনপি নেতাকর্মীর উপর গুলি ছুড়ে। এতে রুমানা মাহমুদসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া জানান, শান্তিপূর্ন সমাবেশ শেষ হবার পরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে সুষ্ঠ গনতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন। হামলার সময় নেতাকর্মীরা তাকে একটি দোকান ঘরের ভিতর নিয়ে যাওয়ায় তিনি রক্ষা পান।

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ জানান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাকেসহ নেতাকর্মীদের মারপিট এবং গাড়ী ভাংচুর করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের দাবী, সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ৪-৫ জন নেতাকর্মীর ওপর তারা হামলা চালিয়ে আহত করে।

কামারখন্দ থানার ওসি নুরন্নবী প্রধান বলেন, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ইট পাটকেলের আঘাতে ৪ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বিকেলে হামলার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে।