খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ দাফন সম্পন্ন


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১, ২০২২, ৬:৩৫ অপরাহ্ন / ৪১৭
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উল্লাহ দাফন সম্পন্ন

এম. জুলফিকার আলী ভূট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান ও নামাজে জানাজা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দাফন করা হয়েছে।

১ ডিসেম্বর-২০২২ খ্রি. বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলার মানিকছড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান ও নামাজে জানাজা শেষে সকালে দাফন করা হয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর শনিবার রাতে সিলেট কদমতলী রেল স্টেশনে অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া বয়োঃবৃদ্ধ মরদেহটি পোস্ট মর্টেম শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সিআইডি’র সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহ’র (৯০) পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে গত ৩০ নভেম্বর পুলিশি কার্যক্রম শেষে পরিবার তাঁর লাশ গ্রহণ করেন।

নিহতের নাতি মো. ইমরান হাবিব জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহ’র জন্মস্থান সিলেট জেলার দোয়ারা বাজার থানার ইদুকোনা গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের মৃত ফজু মিয়ার ছেলে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে সিলেটের বাসতলা, নাসিমপুর, দৌড়াবাজার, কেবলাই ও কেংড়া টিলা এলাকায় যু্দ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার ১নং মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মুসলিম পাড়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন।

জানা যায়, গত মাস খানেক আগে মো. আমান উল্লাহ তাঁর জন্মভূমিতে বেড়াতে গিয়ে ১৫ দিন আগে নিরুদ্দেশ হয়। পরে ২৬ নভেম্বর সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশ রেলস্টেশন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এবং ২৯ নভেম্বর ফিঙ্গার প্রিন্টে পরিচয় নিশ্চিত করে সিআইডি। পরে স্বজনদের খবর দিলে লাশ নিয়ে আসা হয় মানিকছড়িতে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্লাহকে গার্ড অব অনারে সন্মান প্রর্দশন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রক্তিম চৌধুরী, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, (ও.সি) মো. শাহনূর আলম ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।