গাইবান্ধার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িকে দোকান ঘর দখলের অপবাদ দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৭, ২০২২, ৯:৩৮ অপরাহ্ন / ৪৬৩
গাইবান্ধার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িকে দোকান ঘর দখলের অপবাদ দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন

 

মজিবর রহমান গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা পৌরসভার ডিবি রোডের ফকিরপাড়ার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি যমুনা মটরস ও যমুনা ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল ওয়াহেদ মিয়াকে দোকান ঘর দখলের অপবাদ দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ি আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জেলা শহরের ডিবি রোডের ফকিরপাড়ার যমুনা মটরস ও যমুনা ট্রেডার্স নামীয় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ওই ঘর দুটির (জমিসহ) তিনি স্থানীয় মৃত জুম্মন মিয়ার পুত্র মো: আখতাউর রহমানের কাছে ১৯৯৬ সালের ১ অক্টোবর দোকান ঘর দুটি ভাড়া নেন। তখন থেকেই তিনি উক্ত দোকানে ব্যবসা করে আসছেন।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আইনানুগভাবে দোকান ঘরের একজন প্রকৃত সত্ত্বাধিকারী মো: আখতাউর রহমানের কাছ থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ওই দোকান ঘরগুলো ভাড়া নিয়ে প্রায় ২৭ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সম্প্রতি জনৈক মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে শামীম আহম্মেদ প্রেসক্লাবে এসে তার মাতা জরিনা খাতুনের নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দোকানগুলো নিজ নামীয় বলে দাবি করে। অথচ দাবিকৃত জেএল নং ৯৯, ডিপি খং নং ১৪১০, দাগ নং ৬৯৮ এর মধ্যে ১৩ শতকসহ মোট ৩৮ শতক তার ভোগদখলে রয়েছে যা সঠিক নয়। উক্ত জমি মৃত জুম্মন মিয়ার প্রকৃত ওয়ারিশরা (স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও সংশ্লিষ্ট) সকলেই ১৯৭৯ সালে জুম্মন মিয়ার বড় ছেলে আখতাউর রহমানকে পাওয়ার অব এটনিমূলে পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব অনুযায়ী মো: আখতাউর রহমান তাকে ওই দোকান ঘরগুলো ভাড়া দেন। পরবর্তীতে আখতাউর রহমানের সম্মতিতে তার সহদর ভাই মো: জামিল উদ্দিন এবং ভাতিজি শাহীনা আনজুমের কাছে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

অন্যদিকে জরিনা খাতুনের ছেলে ওই দোকান ঘরের জায়গাসহ অন্যান্য জমিতে তাদের স্বত্ত দাবি করায় জুম্মন মিয়ার পুত্র মো: আখতাউর রহমান ও মো: জামিল মিয়া জমির বৈধ বন্ঠনের ও স্বত্তবান হওয়ার জন্য আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করে (মামলা নং ২২৫/২২, গাইবান্ধা সদর)। বর্তমানে ওই মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত মামলায় জরিনা খাতুন ও তার ছেলেমেয়েরা শামীম ও শাহীনসহ সকলেই পক্ষভুক্ত হয়ে আদালতে জবাব দাখিল করেন। বিচারাধীন মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের দাবি অগ্রাহ্য হলেও তারা চাপ সৃষ্টি করে মিথ্যা ও যোগসাজসী চক্রান্তের মাধ্যমে দোকান ঘরগুলো দখলের পায়তারা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃত জুম্মন মিয়ার ছেলে মো. জামিল মিয়া, সাইদুর রহমান মিঠু, নাতি ওয়ালিদ শাকিল ও আব্দুল বারী সিয়াম। ওয়াহেদ মিয়া জানান, গত ৬ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে জনৈক শামীম আহম্মেদ গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

গাইবান্ধা থেকে
মজিবর রহমান
০৭.১১.২০২২