ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারে মেডিলাইফ ডিজিটাল হসপিটাল এন্ড দি ল্যাব নামক প্রতিষ্ঠানে মাদক ও নারীসহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক, স্টাফ এবং বহিরাগত কিছু লোকের সমজোতায় এসব অপকর্ম চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
গত শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের রিসিপশনিষ্ট সুমি বেগমের সাথে একই বাজারের ঔষধের দোকানদার রাসেলকে একটি বন্ধ রুমে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে দরজার বাহির থেকে তাদেরকে দরজা খুলতে বললে তারা দরজা না খুলে ভিতর থেকে হুমকি দিতে থাকেন এবং রাসেল ৯৯৯ জরুরি নাম্বারে কল দিলে ঘটনাস্থলে টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশ এসে জনসাধারনের উপস্থিতি কমিয়ে অবস্থা শান্ত করে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে চলে যান।
এর কিছুদিন পূর্বে হসপিটালের স্টাফ সুমি সহ অন্যান্য স্টাফরা রাসেলকে নিয়ে মদের আসর জমিয়ে মধ্য পান ও ধূমপান করে মাতাল অবস্থায় নাচ গান করে। এবং রাসেল সুমিকে ধূমপান করিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটে। এর কিছু ভিডিও ফুটেজও স্থানীয়দের মুঠোফোনে দেখা যায় বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সুমি এবং রাসেলকে দীর্ঘসময় ধরে একটি রুমে অবস্থান করতে দেখা যায়। বাহির থেকে দরজা খুলতে বললে তারা দরজা না খুলে পুলিশকে ফোন দেয়। পরে পুলিশ আসার পরে দরজা খুললে তাদের দুজনকে একসাথে দেখা যায়। এছাড়া তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক বলেন, মেডিলাইফ ক্লিনিকের মালিক হাকিম হালদার নিজেও নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তিনি একে একে ৩টি বিয়ে করার পরেও প্রতিষ্ঠানের নারী স্টাফদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ নিয়ে তার স্ত্রী বিভিন্ন সময় এই প্রতিষ্ঠানে এসে বিচার সালিশি করার মত ঘটনা ও ঘটেছে।
ক্লিনিকের মালিক হাকিম হালদার তার নিজের অপকর্মের কথা অস্বীকার করে বলেন, সুমি এবং রাসেলের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা ঠিক হয়নি। আমি এর যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য: উক্ত বিষয়টি (৪ ডিসেম্বর) রবিবার বেলা ১১টায় বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের কক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. দুলাল বিষয়টি আমলে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন।
এবিষয়ে বালিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী দুলাল বলেন, মেডিলাইফ হসপিটালে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পেয়ে পরের দিন ইউনিয়ন পরিষদে ওই মেয়ে এবং ছেলেকে ডেকে আনি। স্থানীয় কয়েকজন মোবাইল ফোনে একটা ভিডিও ফুটেজ দেখায়। ভিডিওতে দেখাযায় হসপিটালের একটা রুমে অভিযুক্ত মেয়ে এবং ছেলেটির সাথে আরো কিছু লোক গান ছেড়ে মদের বোতল সহ নাচানাচি করছে। প্রমাণ সহ এমন অভিযোগ করায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে একটা মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেনো না ঘটে সে ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক হাকিম হালদারকে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :