নীলফামারীতে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় দোকান পেলেন আব্দুল আজিজ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৯, ২০২২, ৬:৫৫ অপরাহ্ন / ৪০৭
নীলফামারীতে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় দোকান পেলেন আব্দুল আজিজ

 

মোঃ সামিউল আলম সায়মন নীলফামারী  প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী শহরের পিটিআই মোড় এলাকায় ছিল জেলা পরিষদের ডোবা। ডোবার ধার দিয়ে অস্থায়ী দোকান তুলে ব্যবসা করতেন স্বামী পরিত্যাক্তা নুর নাহার ও সোহাগী। দুজনই ছোট খাটো পান ব্যবসায়ী। চায়ের দোকান করতেন আব্দুল আজিজ।এছাড়াও মনিহারী, গালামালসহ প্রায় ১৭ টি দোকান ছিলো ডোবার ধার ঘেঁষে। ব্যবসার আয় দিয়ে তাদের চলতো সংসার। কিন্তু তারা দোকান চুরি যাওয়ার সঙ্কায় থাকতেন প্রতিনিয়ত।

তবে সঙ্কা থেকে কাটিয়ে উঠেছেন তারা। জেলা পরিষদের উদ্দ্যেগে ২৬ শতাংশ জমির উপর ডোবাটি ভড়াট করে তৈরি করা হয়েছে ৪৩টি দোকান। দোকানগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে  ওই ১৭ জন সহ আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে। সুধু তাই নয় দোকান পেয়ে হাসি ফুটেছে ওই ব্যবসায়ীদের পরিবারের মুখেও। পাল্টাবে  তাদের জীবনচিত্র। এছাড়াও একজন ভূমিহীনকে বাড়িও করে দিয়েছে জেলা পরিষদ।

তথ্য অনুযায়ী, নিজস্ব ডিজাইনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে জেলা পরিষদ মার্কেটের কাজ শুরু করা হয়। প্রতিটি দোকানের বর্গফুট  হিসেবে বাৎসরিক ভাড়া নেওয়া হবে।

পান ব্যাবসায়ী নুর নাহার ও সোহাগী বলেন, আগে ডোবার উপর কোন রকমে টিনের দোকান দিয়ে ব্যাবসা করতাম।এখন পাকা দোকান পেয়েছি। তাও আবার অল্প টাকায়। এই ব্যবসার আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

চা ব্যাবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন,জেলা পরিষদের স্যারকে  বললাম, আমি গরীব মানুষ । স্যার আমার দোকান না থাকলে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তখন স্যার মাত্র ১৫ হাজার টাকায় আমাকে একটা দোকান বরাদ্দ্য দিলেন। এই দোকান পেয়ে আমি অনেক খুশি। স্যারের জন্য আল্লাহ’র  কাছে দোয়া করি।

আরেক ব্যাবসায়ী ফরহাদ বাবু বলেন, আমার টিনের দোকান ছিলো। প্রতিনিয়ত চুরি যাওয়ার ভয় ছিলো। এখন পাকা দোকান পেয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো এবং অনেক কম টাকায় পাচ্ছি।তাই জেলা পরিষদকে ধন্যবাদ।

জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ অতুল মন্ডল বলেন, পিটিআই মোড়ে জেলা পরিষদের  একটি ডোবা ছিল। সেখানে অনেক ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের কাছে  এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডোবা ভড়াট করে সেখানে প্লট আকারে দোকান তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে দোকান নির্মাণ কাজ শেষ হলে ব্যাবসায়ীরা তাদের বরাদ্দপ্রাপ্ত দোকান চালু করতে পারবে।সেইসাথে প্রায় শতাধীক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।