যমুনায় পানি কমে কাজিপুরের চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি ও ব্যয় বেড়েছে


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ২:৫০ অপরাহ্ন / ৪৪৭
যমুনায় পানি কমে কাজিপুরের চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি ও ব্যয় বেড়েছে

 

কাজিপুর প্রতিনিধি ঃ


যমুনার পানি কমে যাওয়ায় যমুনার বুকচিরে অসংখ্য ডুবচরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে সীমাহীন দূর্ভোগ বেড়েছে। যাতায়াতকারী লোকজনের অর্থ ও সময় দুটোই বেড়েছে। যমুনা নদী দ্বারা পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত কাজিপুর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৬টি যমুনার পূর্বপারে অবস্থিত।

যমুনার পশ্চিম পাড়ের মূল ভূখন্ডে সরকারি বিভিন্ন অফিস আদালত অবস্থিত। সঙ্গত কারণে প্রতিদিন বিপুল সংখক লোকজন নানা প্রয়োজনে পশ্চিম পাড়ে যাতায়াত করে থাকেন।
মূল ভূ-খন্ড পশ্চিম পাড় থেকে কাজিপুরের চরের ৬ ইউনিয়নে আসার জন্য মেঘাই, ঢেকুরিয়া ও খুঁদবান্দি মিলে ৩ টি খেয়া পারা-পারের ঘাট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেঘাই ঘাট। চরের ৬ ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র হল যমুনার পূর্বপারের নাটুয়ারপাড়া হাট । ঐতিহ্যবাহী এই হাট থেকে সরকার বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। সপ্তাহে হাট টি ২ দিন বসে, এতে করে হাটবারে যাতায়াত কারি লোকজন আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়।

নাটুয়ারপাড়া ঘাটের চেইন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান; গড়ে প্রতিদিন ৭ – ৮’শ মানুষ নাটুয়ারপাড়া থেকে মেঘাই ঘাট হয়ে যাতায়াত করে থাকে, তবে হাট বারে এই সংখ্যা আরও ২/৩ গুন বৃদ্ধি পায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন নাটুয়ারপাড়া থেকে কাজিপুর সদরের মেঘাই ঘাটের দুরত্ব প্রায় ৭ কিঃ মিটার। বর্তমানে পানি কমে যাওয়ায় ঘুরপথে তা ১৩ কিঃ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। চরের কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সপ্তাহে ৫ দিন যাতায়াত করেন, এতদিন সোজা পথে নৌকায় ৩৫/ ৪০ মিনিট সময় লাগত, এখন দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে।
এ সমস্যা নিয়মিত যাতায়াতকারী শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারী – বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সর্বস্তরের লোকজনের ।

কাজিপুরের মেঘাই ঘাটের নৌকার চেইন মাস্টার আবু তালহা জানান; গত ৫ বছর ধরে কাজিপুরের মেঘাই ঘাটকে নৌবন্দর ঘোষনা দিয়েছে। সেই থেকে প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছি অথচ সরকারিভাবে আমাদের নৌযান চলাচলে কোন সহযোগিতা করছেন না।
তিনি আরো জানান; মেঘাইঘাট থেকে নাটুয়ারপাড়া যাতায়াতের পথে ফুলজোর নামক স্থানে নদীতে ড্রেজিংএর ব্যবস্থা করে দিলে পরিবহনকৃত নৌকার সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হত।

এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের সমস্যার কথা তারা জানেন না বলে উল্লেখ করেন। স্থানীয় লোকজন মাঝপথে ফুলজোর নামক স্থানে নদীর ড্রেজিং করে নৌচলাচল স্বাভাবিক করার দাবী জানীয়েছেন।