লালপুরের দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পিটালেন ইউপি চেয়ারম্যান,থানায় অভিযোগ

মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোর

রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতিকে পিটালেন দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও তার ক্যাডার বাহিনীরা। গতকাল শুক্রবার(১৮ই নভেম্বর-২২)দিবাগত রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসাইন আশিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান নুশা (৩০)সহ কয়েকজন নেতাকর্মীরা উপজেলার নওপাড়া বাজারস্থ ইউনিয়ন যুবলীগের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌছালে তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ইউপি চেয়ারম্যান তোফা সহ ৩০থেকে  ৩৫জন ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে বাশের লাঠি, লোহার রড ও হাতুড়ী দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন ওই একই উপজেলার পানসিপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম@মাহারুলের ছেলে
মনিরুজ্জামান নুশা (৩০),আকবর আলীর ছেলে  শরিফুল ইসলাম শরিফ (২০),আলতাব মালিথার ছেলে আসিফ হোসেন (৩৫),শাহাজাহান মালিথার ছেলে সাজ্জাদ আলী (১৮),হাসমত আলীর ছেলে জেদনী (৩৮),বাবুল মন্ডলের ছেলে রাসেল (৩৫),মৃত গফুর মন্ডলের ছেলে ফিরোজ (৪৫) ও গোলাম মোস্তাফার ছেলে শাহাবুদ্দিন (৪০)।
আহত দের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাদের ঘটনাস্থল থেকে  উদ্ধার করে ঐ রাতেই লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাতেই শরিফুল ইসলাম, আসিফ হোসেন,সাজ্জাদ আলী, ও রাসেল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যায়।বর্তমানে আশিকুর রহমান, মনিরুজ্জামান (নুশা) ,জেদনী, ফিরোজ ও অপর পক্ষের মাসুদ রানা (২২) লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শনিবার(১৯শে নভেম্বর-২২) দুপুরে লালপুর থানায় নাজমুল হোসেন আশিক বাদি হয়ে দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে প্রধান আসামী করে ২৩ জনের নামীসহ আরো অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফাকে বারবার তার মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান জানান, দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগ দুটি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।