লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটে দলিল লেখক আব্দুল মান্নান হিরাকে বড়বাড়ী শিবরাম গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী নজির হোসেন গং কর্তৃক অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টা; আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলत অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল রোডস্থ একটি হোটেলে আব্দুল মান্নান হিরার স্বজনগণের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল মান্নান হিরার মামা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল বলেন, আমার ভাগনা আব্দুল মান্নান ওরফে হিরা (৩৫) পিতাঃ মৃত নূরুজ্জামান, গ্রামঃ খোর্দ্দ সাপটানা, থানা ও জেলা লালমনিরহাট। সে দীর্ঘ দিন থেকে লালমনিরহাট সাব রেজিস্টার অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এমতাবস্থায় গত ৮ নভেম্বর বেলা আনুমানিক ৪টার সময় মোঃ মুকুল মিয়া (৩০), পিতা- ঘুগরা ব্যাপারী, গ্রাম- ঝারখোলা ছিনাই, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম জেলা সে দলিল লেখক আব্দুল মান্নানকে আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে প্রয়োজনীয় কাজের কথা বলে রাজারহাটের চওড়াটারী বাজার এলাকার মিস্ত্রী ইলেকট্রনিকস এর দোকানে ডেকে নেয়। এর পরে বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকার নজির হোসেন এর নেতৃেত্বে ৫/৭জনের একটি দল ব্লুকালার মাইক্রোবাসে যার নং-ঢাকা মেট্রো ১৪-১১৯৪ যোগে মিথী ইলেকট্রনিক দোকানের কাছে পৌছে। এ সময় তারা আব্দুল মান্নান হিরাকে দোকান থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে ফিল্মি চাইলে তাকে জোড় পূর্বক অপহরণ করে ওই মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। আমরা সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে হিরার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এমতাবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় সদর থানায় বিষয়টি অবগত করলে তারা জানান, আব্দুল মান্নান হিরা বর্তমানে আমাদের তত্বাবধানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমার ভাগনা মোঃ আব্দুল মান্নান হিরাকে নজির হোসেন তুলে নিয়ে তার বাড়ি এলাকায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তার সাথে থাকা দলিল সম্পাদনের বায়নার অন্যের দেয়া ৫০হাজার টাকা, ব্যবহারি টার্চ ফোন ও একটি বাটাম ফোন ছিনিয়ে নেয়। নজির হোসেন জংদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে আমার ভাগনার অবস্থা আশংকাজনক হলে তারা তাকে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পরে তার অবস্থা আরো গুরুতর হলে সদর থানা পুলিশ হিরাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে লালমবিরহাট সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আমার ভাগনা পুলিশের তত্বাবধানে রংপুর মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নজির হোসেন এবং শাহানাজ বেগম, পিতা- মৃত আবুল কাশেম, সাং- কাজির চওড়া, মহেন্দ্রনগর গংদের সাথে আমার ভাগনাদের জমি-জমা সংক্রান্ত দুটি মামলা চলে আসছিল এবং মামলা দুটি চলমান রয়েছে। ওই মামলায় আমার ভাগনার নামে সদর থানায় ওয়ারেন্ট ছিল। নজির হোসেন ও শাহানাজ গং পরিকল্পিত ভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অপহরণ করে নির্যাতন চালায় এবং তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তারা পুলিশে হস্তান্তর করে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল আরও বলেন, আপনারা জানের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা। এছাড়াও প্রকাশ্যে একজনকে অপহরণ ও মাইক্রোতে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্নরুপে রহস্যজনক। আমি আপনাদের মাধ্যামে এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আপনাদের মাধ্যমে সংশিলিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যায় বিচারের দাবী করছি।
আপনার মতামত লিখুন :