সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দল জেএসডি – আমির উদ্দিন


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১, ২০২২, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন / ৪০৬
সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দল জেএসডি – আমির উদ্দিন

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবি জণগণ একহও, রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমৃৃল সংস্কারই আমাদের অঙ্গীকার, ত্যাগ ও লড়াইয়ের ৫০ বছর, মুক্তি যুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ চাই, এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর সোমবার বিকেলে স্থানীয় শহরের মৃধাপাড়া রোড জেএসডি জামালপুর জেলা শাখার দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেএসডি ছাত্রলীগ জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা’র সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেএসডি জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাজ উদ্দিন সবুজ প্রমুখ। এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন জেএসডি নেতা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, আব্দুল খালেক মাষ্টার, কবি আশরাফ আলী, হাফিজুর রহমান মাষ্টার, তোজাম্মেল হক, সাংবাদিক এম এ আওয়াল,অধ্যাপিকা রেহানা হুসনা মনি, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এম এ হাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি জামালপুর জেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন ১৯৭২ সালের ৩১শে অক্টোবর ঐতিহাসিক প্রয়োজনে জেএসডি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ভিত্তিক সাম্য, ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদার সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মানে সমাজ বিপ্লবের ঘোষণা দিয়ে কৃষকরাজ, শ্রমিকরাজ কায়েমের জন্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে এ দলের জন্ম হয়। মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় গণঐক্যকে কার্যকর ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও শক্তিকে নিয়ে জাতীয় বিপ্লবী শক্তি গঠনে যৌক্তিক দাবীকে অগ্রাহ্য করা হয়। নিউক্লিয়াস ও বিএলএফ এর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার রুপকার সিরাজুল আলম খান সদ্য স্বাধীন দেশ পরিচালনার জন্য ১৫ দফা সুপারিশ মালা পেশ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে। কিন্তু এই দাবী উপেক্ষিত হলে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে শতভাগ মুক্তিযোদ্ধার দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রধান বিরোধী দল হিসেবে। আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে চলে সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি। হাজার হাজার নেতা কর্মীকে হারাতে হয় চিরদিনের মত। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এর সিপাহী জনতার অভ্যূত্থানের পরেই জাতীয় গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের দাবী করে আবারো জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রয়াস নেয় জেএসডি। ১৯৯৬ সালে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের দাবী করে এই দল। আজ আবার গভীর রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে গণজাগরণ সৃষ্টি করে জাতীয় চাহিদা মোতাবেক জাতীয় সরকার গঠনের দাবী উত্থাপন করছে জেএসডি। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশায় দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় সরকারের এই দাবী জাতিকে বিদ্যমান প্রচলিত রাজনৈতিক সংকট থেকে বের করে নিয়ে আসবে। এই বিশ্বাস জেএসডি করছে। প্রচলিত ঔপনিবেশিক ধাঁচের রাজনীতির পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ময়মনসিংহ সহ দেশে ৯ টি প্রদেশ শ্রম, কর্ম, পেশার জনগনের ক্ষমতা অধিকার ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে অংশীদারিত্বের রাজনীতির জন্যে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষে সকল শ্রেণী পেশা ও কর্মের মানুষের প্রতিনিধি যুক্ত করা, ফেডারেল রাষ্ট্র গঠন, জেএসডির ১০ দফা ও সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফা কর্মসূচির মধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা রয়েছে। যা বাস্তবায়নের জন্য জেএসডি বিরামহীম সংগ্রাম অব্যহত রেখেছে। বর্তমানে দ্রব্য মূল্যের নির্মম উর্ধ্বগতি সাম্প্রদায়িক উম্মাদনা দলীয় রাজনীতির অযৌক্তিক লাফালাফি ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি ঐতিহ্যগতভাবেই লড়াই অব্যাহত রেখেছে বলে তারা বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরে বলেন।