ডেস্ক রিপোর্ট :
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে প্রতিশোধের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের মতোই আবারও ভারতের কাছে পরাজিত হতে হলো সালমান আলি আগার দলকে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে ভারত ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ৭ বল হাতে রেখেই।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ১৭১ রান। সাহিবজাদা ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় দলটি। জীবন পেয়ে ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। তবে ভারতের বাজে ফিল্ডিং বারবার সুযোগ করে দেয় তাকে। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান তুললেও মধ্যভাগে চাপে পড়ে পাকিস্তান। শিবাম দুবে ও কুলদিপ যাদব রান রেট আটকে দেন। দুবে তুলে নেন হুসাইন তালাত ও ফারহানের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। শেষ দিকে নাওয়াজ, ফাহিম ও সালমানরা ঝড় তোলেন। শেষ ৩ ওভারে আসে ৪২ রান। ফাহিম ৮ বলে করেন অপরাজিত ২০ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছক্কায় উড়িয়ে দেন ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন তিনি ও শুবমান গিল। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করেন অভিষেক। গিলও তাল মেলান সমানতালে। দুজন মিলে গড়েন পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি—৫৯ বলে ১০৬ রান। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১২ সালে গম্ভীর-রাহানের ৭৭ রানের পার্টনারশিপ।
৪৭ রান করে গিল ফিরলেও অভিষেক তখনও অপ্রতিরোধ্য। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৭৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে হঠাৎ ১৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। কিন্তু তিলক ভার্মা (অপরাজিত ৩০) ও হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ৭) দলকে সহজ জয় এনে দেন।
পুরো ম্যাচে ভারত ছেড়ে দেয় চারটি ক্যাচ। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, ৪ ওভারে দেন ৪৫ রান। তবু অভিষেক-গিলের দুর্দান্ত সূচনা পাকিস্তানের সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। ফলে এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার ভারতের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে সালমান আলি আগার পাকিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :