স্টাফ রিপোর্টারঃ
একীভূত হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। এ বিষয়ে গত শুক্রবার দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। উভয় দল একীভূত হয়ে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। তবে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের পদ নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘোষণা আসছে না। আগামী অক্টোবরেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
গণঅধিকারের এক নেতা বলেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদকেই কেন্দ্র করে একীভূত হওয়া উচিত। অন্যদিকে এনসিপির নেতারা মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এনসিপি দ্রুত নিবন্ধন পাবে এবং সারাদেশে তাদের বিস্তার রয়েছে। তাই গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে একীভূত হলে রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক ফল আসবে।
আলোচনায় জানা গেছে, নুরুল হক নূরের জন্য এনসিপি নতুন একটি পদ সৃষ্টি করতে চায়, যা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পরের অবস্থানে থাকবে। তবে রাশেদ খানসহ অন্য নেতাদের অবস্থান কী হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
মো. রাশেদ খান বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। দুই দলের মধ্যে অতীতের আন্দোলনে একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি আমরা এক হয়ে কাজ করতে পারি, তবে ভালো ফল আসবে। নেতৃত্ব ও দলের নাম এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে আলোচনা ইতিবাচক।”
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “দুই দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তরুণ। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে জুলাই আন্দোলনে তারা একসঙ্গে রাজপথে ছিলেন। এক হলে তরুণদের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে।”
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল হক নূর। পরে ২০২১ সালে ‘গণঅধিকার পরিষদ’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন তিনি। দলটি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে।
অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলনের পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। দুজনই আগে গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ/জে
আপনার মতামত লিখুন :