মাওলানা শামীম আহমেদ:–
মুসলিম সমাজে একে অপরের সম্মান রক্ষা করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষার একটি অংশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ আমাদের সমাজে গীবত (অন্যের পেছনে নিন্দা) ও বুহতান (মিথ্যা অপবাদ) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কুরআনে আল্লাহ তাআলা সতর্ক করেছেন—
“তোমরা একে অপরের দোষ চর্চা করো না। তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে যে, সে তার মৃত ভাইয়ের মাংস খাবে? তোমরা তো তা ঘৃণা করো।” (সুরা হুজরাত: ১২)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “গীবত হল তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা সে পছন্দ করে না। যদি সে ত্রুটি বাস্তব হয় তবে তা গীবত, আর যদি তা মিথ্যা হয় তবে তা বুহতান।” (সহিহ মুসলিম)
গীবতের ভয়াবহতা:
গীবত মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে, সমাজে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং আল্লাহর রোষানলে পতিত করে। যে ব্যক্তি গীবত করে, কিয়ামতের দিন তার নেকি গীবতের শিকার ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সৎ উপদেশের গুরুত্ব:
ইসলাম মুসলিমদের একে অপরের ত্রুটি ঢেকে রাখার শিক্ষা দেয়। ত্রুটি থাকলে তা গোপনে, ভদ্রভাবে এবং সহানুভূতির সাথে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।” (সহিহ মুসলিম)
আমাদের করণীয়:
১️ গীবত থেকে বিরত থাকা
২️ অন্যের ভালো দিক বেশি বলা
৩️ ভুল দেখলে ব্যক্তিগতভাবে পরামর্শ দেওয়া
৪️ সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা
উপসংহার:
ভাইয়ের পেছনে নিন্দা নয়, বরং সৎ উপদেশ দেওয়া হোক মুসলিমের পরিচয়। তবেই আমরা পরস্পরের ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে পারব।
আপনার মতামত লিখুন :