কিছু সুগন্ধ মশার একেবারেই অপছন্দ। বাজারে ২০০-১০০০ টাকার মধ্যে নানা রকম সুগন্ধি তেল কিংবা মোম পাওয়া যায়- ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস, লেমনগ্রাস এবং পিপারমিন্টের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। এসব সুগন্ধ শোবার ঘরে ব্যবহার করলে মশা দূরে থাকবে।

সুগন্ধযুক্ত তেল ঘরের চারদিকে হালকা করে ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিংবা সরাসরি ত্বকে মাখতে পারেন। তবে অ্যালার্জি বুঝতে প্রথমে প্যাচ-টেস্ট করতে ভুলবেন না।

বর্তমানে ত্বকের জন্য বিভিন্ন নাইটক্রিমের মধ্যে এসব সুগন্ধি পাওয়া যায়। ঘুমানোর আগে তা ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে এয়ারফ্রেশনার কিনতে পাওয়া যায়। সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে জ্বালিয়ে নিন। ঘুমানোর আগে নিভিয়ে দিন।

মশা আমাদের ঘামের গন্ধ অনুসরণ করে কামড় বসায়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করে নিলে ঘামের গন্ধ দূর হয় এবং মশার কামড় খাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এ ছাড়া চাদর-বালিশ গন্ধমুক্ত রাখতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ পরপর সব বদলে ফেলা ভালো।

ঘুমানোর আগে মশারি টানিয়ে নিন। বিছানায় মশারি গোঁজার পর খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো ফাঁকফোকর না থাকে। ছিঁড়ে যাওয়া মশারি সেলাই করে নিন। শিশু-বৃদ্ধদের বিছানায় মশারি টানাতে একদম ভুলবেন না।

মশা গন্ধের পাশাপাশি রঙের প্রতিও বেশ সংবেদনশীল । যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের একটা গবেষণায় দেখা গেছে, খুব উজ্জ্বল যেকোনো রং থেকে দূরে থাকে মশা। যেমন নীল, বেগুনি, সবুজ ও সাদা।

কালো, নেভি ব্লু, লাল, কমলা ইত্যাদি গাঢ় রঙের প্রতি মশা আবার বেশ আকৃষ্ট হয়। তাই শোবার ঘরের দেয়াল, বিছানার চাদর ও বালিশের রং, এমনকি ঘুমের পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে মশার অপছন্দের রংগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

বর্তমানে মশার উৎপাতে ঘুমের সময় ঘরের জানালা একেবারে বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। এর সমাধানে জানালায় জাল দেওয়া। জালের কারণে মশা ভেতরে ঢুকতে পারবে না। বাজারে জানালায় লাগানোর জন্য নানা মাপের মশার জাল কিনতে পাওয়া যায়।

ভেষজ কিছু গাছ আছে, যেসব ঘরে রাখলে মশার আনাগোনা কমে। যেমন রোজমেরি, পুদিনা, ভুঁইতুলসী, ক্যাটনিপ মশা দূরে রাখতে বেশ কার্যকর। ঘরে রসুনগাছ রাখলেও মশা দূরে থাকবে।