দোয়ারাবাজারের অনিক দাস এসএস সি’তে দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে জয় করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে।।


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ৭:০৫ পূর্বাহ্ন / ৪১৮
দোয়ারাবাজারের অনিক দাস এসএস সি’তে দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে জয় করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে।।

 

সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ
দারিদ্র্যতাকে হার মানিয়ে জয় করে নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে অনিক দাস। এই মেধাবী শিক্ষার্থী দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের দিনমজুর অনুকূল দাসের পুত্র। অনিক দাস এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ গ্রহন করে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার এই কৃতিত্বের জন্য শিক্ষক, অভিভাবক সকলেই খুশি। অনুকুল দাসের সংসারে স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান। এক সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রেষ্টুরেন্টে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সিলেটের ভোলাগঞ্জে এক কোয়ারিতে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। অভাব অনটনের সংসারের ছেলে অনিক দাস। মেধাবী শিক্ষার্থী অনিক দাস জানায়, অভাব-অনটনের মাঝেও তার বাবা তাকে লেখাপড়ার খরছ জুগিয়েছেন। ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হয়ে এলাকার দরিদ্র মানুষের সেবা করে যেতে চায় সে। লেখা পড়ার জন্য সব সময় তার মা-বাবা তাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে সে সহযোগিতা পেয়েছে। সকলের দোয়া ও আর্শীবাদে সে ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে। তার পিতা অনুকুল দাস ও মাতা দেবারানী দাস জানান, তাঁদের পুত্র লেখাপড়ার বাইরে অন্য কোনো আবদার কখনো করেনি। অভাবের সংসারে তার অনেক শখ পূরণ করতে পারেননি তারা। ছেলের এই ফলাফলে অত্যন্ত খুশি তারা। ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া আর্শীবাদ কামনা করেছেন। আমবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আহমদ বলেন, দারিদ্রতাকে জয় করে অনিক দাসের এ সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত। দোয়ারাবাজার উপজেলার পিছিয়ে পড়া একটা এলাকা থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করা মোটেই সহজ নয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সব সময় তার পাশে ছিলেন। তিনি তার ভবিষ্যৎ জীবনের সফলতা কামনা করেন।##


There is no ads to display, Please add some