নবীগঞ্জে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, দুর্ভোগে পথচারীরা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২২, ৮:৫১ অপরাহ্ন / ৪১৪
নবীগঞ্জে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, দুর্ভোগে পথচারীরা

 

স্বপন রবি দাশ,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার ফুটপাত দখল করে ভাসমান দোকান বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পৌর শহরের সড়কগুলোতে প্রতিদিন বসে ভ্রাম্যমাণ বাজার। এজন্য সড়কে চলতে পৌরবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ফুটপাত এখন হকারদের দখলে। পথচারীদের অনেকক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে হাঁটতে হয় মূল সড়ক দিয়ে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের অভিযান চলে। উচ্ছেদ হয় কিছু দোকানপাট। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফুটপাত আবারও দখলে চলে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জে.কে স্কুল রোড, ওসমানী রোড, হাসপাতাল রোড, শেরপুর রোড, আব্দুল মতিন স্কয়ার (গাজির টেক) সামনের সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে ভাসমান দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এতে সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এ বাজারে থাকছে ফলমূল, চটপটি, হালিম, চানাচুর, শাকসবজি, কাপড়, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান। এমনিতেই সব সময় ব্যস্ত থাকে এই সড়ক, এরমধ্যে দোকান পাটের কারণে আরো বেশী চাপ পড়ে। এতে স্থায়ী রূপ লাভ করছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌর শহরবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তাদের বসার স্থায়ী কোন জায়গা নেই। নিরূপায় হয়েই তারা ফুটপাতে বসেন। সংসার চালাতে বিকল্প কোনো উপায়ও তাদের নেই।
পথচারীরা জানান, এ পথ দিয়ে যখন হাঁটি, মনে হয় ব্যস্ত কোনো সড়ক দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা দেখার কি কেউ নেই ? রাত কি, আর দিন কি, সড়কে ভিড় জমে থাকে। আমরা সবাই বলি নবীগঞ্জ শান্তির শহর কিন্তু এখন তো ট্রাফিক পয়েন্টসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জ্যাম লেগে থাকে। শান্তি থাকছে না, অস্থিরতা শুরু হয়েছে। ফুটপাত হচ্ছে জনগণের চলাচল করার জন্য। কিন্তু ফুটপাতের সুবিধা পাচ্ছেন না পথচারীরা। এটা আমাদের শহরের জন্য ক্ষতিকর। এখন থেকে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে শহরকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরী। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর সেটা যেন আবার দখল না হয় সে জন্য নজরদারি রাখতে হবে। পথচারী সফর আলী বলেন, সড়কে ভাসমান দোকান থাকার কারণে ঠিক মতো হাঁটা যায় না। দিনের বেশিরভাগ সময়ই সড়কে মানুষের জ্যাম তৈরি হয়। সন্ধ্যায় তো আরো বেশী খারাপ অবস্থা হয়। স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটে। এছাড়াও এসব দোকানের কারণে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।


There is no ads to display, Please add some